ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ শীর্ষক সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ Logo চীনের বক্স অফিস আয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ড Logo ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত করবে Logo ২০২৪ সালে চীনের পরিষেবা শিল্প দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে Logo গুলশানে স্পা বাণিজ্যের জোরালো সিন্ডিকেট বিশেষ প্রতিনিধি Logo গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ফ্রিল্যান্সার সামিট উদ্বোধন Logo পলাশবাড়ীতে অবৈধভাবে রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগে দুই যুবক কারাগারে Logo খুলনায় পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ আটক-৪ Logo ঝিনাইগাতীতে দুই সার ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা Logo রূপসায় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ

বায়ুদূষণ কমানো ও কৃষিজমি বাঁচাতে সরকারি নির্মাণে ব্লকের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার- পরিবেশ উপদেষ্টা

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি নির্মাণকাজে ব্লকের ব্যবহার বাড়ালে বায়ুদূষণ কমবে এবং কৃষিজমি বাঁচবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এ জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

আজ রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি মতবিনিময় সভা হয়। সভায় বায়ুদূষণ কমানো ও কৃষিজমি সংরক্ষণে ব্লকের ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “ব্লকের ব্যবহার শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, এটি নির্মাণ খাতের দক্ষতা ও স্থায়িত্বও বাড়ায়। আমরা সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও অংশীজনদের সাথে সমন্বয় করে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করব।”

তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

সভায় ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন নীতি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। ব্লককে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, কাস্টমস ও ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনা এবং ব্লক উৎপাদনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

এছাড়া, উন্নয়ন প্রকল্পে ব্লকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এলজিইডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার রেট সিডিউল হালনাগাদ করার বিষয়ে মতামত উঠে আসে।

সব ধরনের ব্লকের গুণগত মান বজায় রাখতে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) এবং বিএসটিআই-এর সহযোগিতায় জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি, নির্মাণ খাতের বিশেষজ্ঞ এবং ব্লক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু।

এর পূর্বে মন্ত্রণালয়ে সচিবের সভাপতিত্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ শীর্ষক সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’

SBN

SBN

বায়ুদূষণ কমানো ও কৃষিজমি বাঁচাতে সরকারি নির্মাণে ব্লকের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার- পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৯:২৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি নির্মাণকাজে ব্লকের ব্যবহার বাড়ালে বায়ুদূষণ কমবে এবং কৃষিজমি বাঁচবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এ জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

আজ রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি মতবিনিময় সভা হয়। সভায় বায়ুদূষণ কমানো ও কৃষিজমি সংরক্ষণে ব্লকের ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “ব্লকের ব্যবহার শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, এটি নির্মাণ খাতের দক্ষতা ও স্থায়িত্বও বাড়ায়। আমরা সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও অংশীজনদের সাথে সমন্বয় করে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করব।”

তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

সভায় ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন নীতি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। ব্লককে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, কাস্টমস ও ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনা এবং ব্লক উৎপাদনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

এছাড়া, উন্নয়ন প্রকল্পে ব্লকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এলজিইডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার রেট সিডিউল হালনাগাদ করার বিষয়ে মতামত উঠে আসে।

সব ধরনের ব্লকের গুণগত মান বজায় রাখতে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) এবং বিএসটিআই-এর সহযোগিতায় জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি, নির্মাণ খাতের বিশেষজ্ঞ এবং ব্লক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু।

এর পূর্বে মন্ত্রণালয়ে সচিবের সভাপতিত্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।