২০২৫ সালে চীনে সফর করা প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে সম্প্রতি গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের উন্নয়ন প্রশংসনীয়, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, চীন এবং বিশ্বের জন্য বিরাট অবদান রাখছেন।
২০ জানুয়ারি হল চীন ও গ্রেনাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ২০তম বার্ষিকী। তাঁর এই সফর বিশেষভাবে এই উপলক্ষ্যে হয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি, গ্রেনাডা সরকার এবং চীন সরকার ১৩টি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তা গত বিশ বছরে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁর দেশ চীনের রাজনীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে অনেক লাভবান হয়েছে। তাই তিনি মনে করেন তাঁর এবারের চীন সফর খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
১১ জানুয়ারি চীনে পৌঁছার পর, মিচেল নতুন জ্বালানি গাড়ি প্রযুক্তি উদ্ভাবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে চীনের বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চীন নিঃসন্দেহে বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনকারী দেশ। গ্রেনাডা একটি ছোট দ্বীপ দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ, তার যানবাহনের বৈদ্যুতিকায়ন বাস্তবায়ন করা উচিৎ। এবার চীন সফরে তিনি যা দেখেছেন, তা অবাক করার মতো।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ২০ বছর, দুই দেশ পরস্পরকে প্রমাণ করেছে, পারস্পরিক সম্মান, আস্থা এবং সহযোগিতায় দৃঢ়তা দেখিয়েছে। তাই তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, দু’দেশের উচিত সরকার, পার্লামেন্ট এবং রাজনৈতিক দলের বিনিময় জোরদার করা, উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের কল্যাণ বাড়াতে শান্তিপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও সংলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। তিনি আশা করেন, আন্তর্জাতিক সমাজ, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ দেশগুলো চীনের উত্থাপিত বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, নিরাপত্তা উদ্যোগ এবং সভ্যতা উদ্যোগ সমর্থন করবে।
এছাড়া ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ (বিআরআই) সম্বন্ধে প্রধানমন্ত্রী মিচেল বলেন, বিআরআই’র মাধ্যমে, তার দেশের বিমানন্দর নির্মাণের ৪০ বছর পর পুনরায় নির্মিত হতে পেরেছে। তা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাক্ষাৎকারে মিচেল আরো বলেন, তাঁর দেশ বরাবরই এক চীন নীতি মেনে চলে, চীনের ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ নীতিও কার্যকর।
সূত্র:শুয়েই-হাশিম- জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।