প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডা. এম. এ. সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২২ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশী হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নিহত—আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সভা—সমাবেশ, মিছিল করার অধিকার আছে। কিন্তু সরকার জনগণের সকল সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভয়ভীতির ও দমন পীড়ন চালাচ্ছে। সভা—সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়ার মতো অসাংবিধানিক বিধান চালু করেছে। সম্প্রতি বিরোধী দল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলো করার সময় বাস, ট্রাক, লঞ্চ, থ্রি—হুইলার বন্ধ করে শুধু বিএনপির সমাবেশেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি, সাধারণ জনগণের চলাচলেও বাঁধা তৈরি করে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুল—কলেজে যাওয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করেছে। বাস্তবে ঐসব এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল।
নেতৃদ্বয় বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনসভার স্থান নিয়ে সরকার ও বিএনপি যে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তা অপ্রয়োজনীয়। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যাংক ডাকাতি, অর্থপাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ জনজীবনের সংকট নিরসনে সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বিবৃতিতে কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশকে ঘিরে গণগ্রেফতার ও গায়েবি মামলা দায়েরের ফলে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, গুলি করে মানুষ হত্যা করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় করে তুললো এবং সরকার তার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটালো।
নেতৃদ্বয় বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শেখ হাসিনার সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
তাঁরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।