ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক

বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশী হামলার ঘটনায় কমিউনিস্ট পার্টি’র নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডা. এম. এ. সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২২ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশী হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নিহত—আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সভা—সমাবেশ, মিছিল করার অধিকার আছে। কিন্তু সরকার জনগণের সকল সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভয়ভীতির ও দমন পীড়ন চালাচ্ছে। সভা—সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়ার মতো অসাংবিধানিক বিধান চালু করেছে। সম্প্রতি বিরোধী দল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলো করার সময় বাস, ট্রাক, লঞ্চ, থ্রি—হুইলার বন্ধ করে শুধু বিএনপির সমাবেশেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি, সাধারণ জনগণের চলাচলেও বাঁধা তৈরি করে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুল—কলেজে যাওয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করেছে। বাস্তবে ঐসব এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনসভার স্থান নিয়ে সরকার ও বিএনপি যে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তা অপ্রয়োজনীয়। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যাংক ডাকাতি, অর্থপাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ জনজীবনের সংকট নিরসনে সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

বিবৃতিতে কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশকে ঘিরে গণগ্রেফতার ও গায়েবি মামলা দায়েরের ফলে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, গুলি করে মানুষ হত্যা করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় করে তুললো এবং সরকার তার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটালো।

নেতৃদ্বয় বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শেখ হাসিনার সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
তাঁরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই

SBN

SBN

বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশী হামলার ঘটনায় কমিউনিস্ট পার্টি’র নিন্দা

আপডেট সময় ০২:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডা. এম. এ. সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২২ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশী হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নিহত—আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সভা—সমাবেশ, মিছিল করার অধিকার আছে। কিন্তু সরকার জনগণের সকল সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভয়ভীতির ও দমন পীড়ন চালাচ্ছে। সভা—সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়ার মতো অসাংবিধানিক বিধান চালু করেছে। সম্প্রতি বিরোধী দল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলো করার সময় বাস, ট্রাক, লঞ্চ, থ্রি—হুইলার বন্ধ করে শুধু বিএনপির সমাবেশেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি, সাধারণ জনগণের চলাচলেও বাঁধা তৈরি করে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুল—কলেজে যাওয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করেছে। বাস্তবে ঐসব এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনসভার স্থান নিয়ে সরকার ও বিএনপি যে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তা অপ্রয়োজনীয়। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যাংক ডাকাতি, অর্থপাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ জনজীবনের সংকট নিরসনে সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

বিবৃতিতে কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশকে ঘিরে গণগ্রেফতার ও গায়েবি মামলা দায়েরের ফলে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, গুলি করে মানুষ হত্যা করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় করে তুললো এবং সরকার তার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটালো।

নেতৃদ্বয় বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শেখ হাসিনার সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
তাঁরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।