ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপৎসীমার উপরে তিস্তা-ধরলার পানি, বন্দি লাখো মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে তিস্তাপাড়। পানবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। গৃহপালিত পশু নিয়ে বানিভাসী মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। কিন্তু দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট।

এদিকে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়েছে ধরলাপাড়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট চায় বানভাসী লোকজন।

স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নাঞ্চলে হুহু করে পানি প্রবেশ করছে। স্থায়ী বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানির চাপে ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে তিস্তার দুই পাড়।
জানা গেছে, পশুপাখি নিয়ে বন্যার্তরা উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকেই উঁচু স্থানে চুলা বানিয়ে রান্নার কাজ সারছেন। নলকুপ ও টয়লেটে পানি উঠায় বিশুদ্ধ পানি সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়ছেন তারা।

গোবর্ধন এলাকার আলেমা বেগম জানান, বাড়িতে বুক পরিমাণ পানি। আশপাশের সব ডুবে গেছে। রাতে রুটি খেয়ে আছি। সকাল থেকে পেটে কিছু পড়েনি। ক্ষুদায় চো চো করছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ডালিয়া পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা খোঁজখবর রাখছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপৎসীমার উপরে তিস্তা-ধরলার পানি, বন্দি লাখো মানুষ

আপডেট সময় ১২:১৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে তিস্তাপাড়। পানবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। গৃহপালিত পশু নিয়ে বানিভাসী মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। কিন্তু দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট।

এদিকে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়েছে ধরলাপাড়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট চায় বানভাসী লোকজন।

স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নাঞ্চলে হুহু করে পানি প্রবেশ করছে। স্থায়ী বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানির চাপে ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে তিস্তার দুই পাড়।
জানা গেছে, পশুপাখি নিয়ে বন্যার্তরা উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকেই উঁচু স্থানে চুলা বানিয়ে রান্নার কাজ সারছেন। নলকুপ ও টয়লেটে পানি উঠায় বিশুদ্ধ পানি সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়ছেন তারা।

গোবর্ধন এলাকার আলেমা বেগম জানান, বাড়িতে বুক পরিমাণ পানি। আশপাশের সব ডুবে গেছে। রাতে রুটি খেয়ে আছি। সকাল থেকে পেটে কিছু পড়েনি। ক্ষুদায় চো চো করছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ডালিয়া পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা খোঁজখবর রাখছি।