
সোনিয়া আখন্দ
বিরহ, একটি উৎপাদনশীল স্নায়ুযন্ত্রণা
সে কষ্ট দিলেও শক্ত হতে শেখায়।
শক্তিশালী কতো গুলো শব্দের উন্মাদনায়,
বেছে নিতে চায় নতুন জগৎ,
সজীব নিঃশ্বাস নেওয়ার নেশায়।
বিরহ, সর্বদাই বিয়োগ থেকে বহমান হয়,
তার সূচনা হয় যোগের আনন্দ থেকে।
লিঙ্গবিহীন এই বিরহ শব্দটি
কখনো পক্ষপাতিত্ব করেনা, দেখে না দেখে।
বিরহে সিক্ত হওয়া পথিক
দুদণ্ড প্রশান্তির মূল্য দিতে জানে,
সে জানে, চোখের লোনা জলে ভেজা
তার কপোল মিলাবে কোন রেখা টানে।
মাঝ রাতে ডেকে উঠা কোনো অচিন পাখি
নির্ঘুম প্রহর কাটানোর- কোনো এক নিশাচরী
ভাবতে শুরু করে, আমি এখোনো বেঁচে আছি,
হেঁটে যেতে হবে জীবনের পথ ধরি।
বিরহ বিশেষ নিয়মে আসে
আর সব নিয়ম ভেঙে দিয়ে-
উদার করে দিয়ে যায়, বিরহীর বিবাগী মন।
সেই থেকে সে মহাকাল বুঝে,
দূঃখ বুঝে, বুঝে কাঁদতে হবে কখন?
দুর্দিনের অলিক সুখ দেখে, সে হেসে নেয় খানিক!
তাকে পাওয়ার লোভ ছেড়ে গেছে কবেই
যাতনায় বিদীর্ণ দেহে-
দুঃখই যেনো সুখের মাণিক।
নিঃসংকোচে তুমি দুঃখ কুড়াও
কষ্ট হলেও বাড়িয়ে দাও হাত
সুখ তো কেবল আয়াশ বুঝে
তার সাথে রাখে, আজীবন অভিসম্পাত।!
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























