ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর আসার আগেই বাড়িতে হাজির পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন Logo গাইবান্ধায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo দুর্নীতির দায়ে ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যানে পদ শূন্য ঘোষণা Logo যত বাধাই আসুক, ড. ইউনুসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হবে Logo কুমিল্লাতে আন্ত জেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার Logo নির্বাচন থেকে সরে গিয় তামিম, ক্রিকেট শতভাগ হেরে গিয়েছে Logo টেকনাফের গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৮ জন উদ্ধার Logo রাঙামাটিতে প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণে এসএসসি ২০০২ ব্যাচের উদ্যোগে স্মরণ সভা Logo নওগাঁয় জামায়াতের উপজেলা আমির মোনায়েম বহিষ্কার Logo রূপসায় রাজা স্মৃতি কিশোর অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত

বুড়িচংয়ে গ্রীস্ম ও শীতকালীন আগাম টমেটো চাষে সফল কৃষক মোবারক

সৌরভ মাহমুদ হারুন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার অজপাড়া গা গ্রাম কোরপাই এলাকায় গ্রীস্ম ও আগাম শীতকালীন টমেটো চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষক মোবারক। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এই দু প্রকারের চাষাবাদ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার থেকে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ কিছু শ্রমিক এনে গ্রীস্ম ও ভারত থেকে আনা বীজে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষের সাথে চারা বিক্রি করাও শুরু করেছেন।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই গ্রাম। এই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন। তিনি জানান, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানী করে টমেটো বাজারজাত করণ দেখে তার এই আগ্রহী। এঅবস্থায় প্রথমে মৌলভীবাজার জেলা থেকে গ্রাটিং পদ্ধতিতে করা গ্রস্মকালীন টমেটোর চারা সংগ্রহ করেন। কিছুদিন পরে মৌলভীবাজার থেকে গ্রাফটিংয়ে পারদর্শী ১০জন কৃষককে নিজ এলাকায় নিয়ে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ভারত থেকে আগাম শীতকালীন টমেটোর বীজ এনে সেটার উৎপাদনও শুরু করেন। বর্তমানে কৃষক মোবারকের ফসলী মাঠে সর্বমোট ২০জন শ্রমিক কর্মরত আছেন।

সরেজমিন ফসলী মাঠ ঘুরে দেখা যায় প্রায় সাড়ে তিন একর করে প্রতিটি প্লট। বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জমি থেকে ফলন সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেখানে ২৫ হাজার গাছ রয়েছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি রোপন করা চারা থেকে দু’মাসের মধ্যেই ফসল আহরন শুরু হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রতিটি ২৫ কেজি ওজনের ৩৫/৪০ প্লাস্টিকের বক্স বা ক্যারেট টমেটো সংগ্রহ করা হয়। প্রথম দিকে ১৪০/১৫০ টাকা প্রতি কেজি টমেটো বিক্রয় করা গেলেও ভারতীয় টমেটো আমদানী শুরু হওয়ায় মূল্যে অনেকটা কমে গেছে। বর্তমানে সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি প্রতি মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। বাগানে ফল আহরন করা শ্রমিকরা জানান, টমেটো নিমসারে পাইকারদের কাছে পৌঁছে দেই বিক্রয়ের জন্য।

এখানে কর্মরত প্রায় সবাইকে মোবারক মাসিক বেতনের পাশাপাশি বাসস্থানেরও সুযোগ করে দিয়েছেন। একদিকে যখন গ্রীস্মকালীন ফলন সংগ্রহ করা হচ্ছে অন্যদিকে আগাম শীতকালীন চারাও পরিচর্যা চলছে সমান তালে। সেখানেও বর্তমানে প্রায় ২৮ হাজার চারা নিবিড় পরিচর্যায় বড় হচ্ছে। আর এভাবেই স্থানীয় পর্যায়ে সহজলভ্য করতে বছরব্যাপী গ্রীষ্ম ও আগাম শীতকালীন টমেটো চাষে সারাদিনই টমেটোর দুটো মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মোবারক। বর্তমানে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের তার বাগানে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এরইমাঝে একটি সোলার সেচ পাম্পের জন্য আবেদন করেছি। তাছাড়াও পলিনেট হাউজে চারা উৎপাদন ও স্থানীয়ভাবে বারো মাস টমেটো সংরক্ষণে একটি কোল্ডস্টোরেজ নির্মানে সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। এছাড়াও পৃথক গ্রাফটিং ও চারা উৎপাদন করে চারা করছেন কৃষকদের কাছে।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ আফরিণা আক্তার জানান,আমরা তাকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বর আসার আগেই বাড়িতে হাজির পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন

SBN

SBN

বুড়িচংয়ে গ্রীস্ম ও শীতকালীন আগাম টমেটো চাষে সফল কৃষক মোবারক

আপডেট সময় ০৬:৪৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সৌরভ মাহমুদ হারুন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার অজপাড়া গা গ্রাম কোরপাই এলাকায় গ্রীস্ম ও আগাম শীতকালীন টমেটো চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষক মোবারক। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এই দু প্রকারের চাষাবাদ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার থেকে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ কিছু শ্রমিক এনে গ্রীস্ম ও ভারত থেকে আনা বীজে আগাম শীতকালীন টমেটো চাষের সাথে চারা বিক্রি করাও শুরু করেছেন।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই গ্রাম। এই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন। তিনি জানান, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানী করে টমেটো বাজারজাত করণ দেখে তার এই আগ্রহী। এঅবস্থায় প্রথমে মৌলভীবাজার জেলা থেকে গ্রাটিং পদ্ধতিতে করা গ্রস্মকালীন টমেটোর চারা সংগ্রহ করেন। কিছুদিন পরে মৌলভীবাজার থেকে গ্রাফটিংয়ে পারদর্শী ১০জন কৃষককে নিজ এলাকায় নিয়ে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ভারত থেকে আগাম শীতকালীন টমেটোর বীজ এনে সেটার উৎপাদনও শুরু করেন। বর্তমানে কৃষক মোবারকের ফসলী মাঠে সর্বমোট ২০জন শ্রমিক কর্মরত আছেন।

সরেজমিন ফসলী মাঠ ঘুরে দেখা যায় প্রায় সাড়ে তিন একর করে প্রতিটি প্লট। বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জমি থেকে ফলন সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেখানে ২৫ হাজার গাছ রয়েছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি রোপন করা চারা থেকে দু’মাসের মধ্যেই ফসল আহরন শুরু হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রতিটি ২৫ কেজি ওজনের ৩৫/৪০ প্লাস্টিকের বক্স বা ক্যারেট টমেটো সংগ্রহ করা হয়। প্রথম দিকে ১৪০/১৫০ টাকা প্রতি কেজি টমেটো বিক্রয় করা গেলেও ভারতীয় টমেটো আমদানী শুরু হওয়ায় মূল্যে অনেকটা কমে গেছে। বর্তমানে সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি প্রতি মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। বাগানে ফল আহরন করা শ্রমিকরা জানান, টমেটো নিমসারে পাইকারদের কাছে পৌঁছে দেই বিক্রয়ের জন্য।

এখানে কর্মরত প্রায় সবাইকে মোবারক মাসিক বেতনের পাশাপাশি বাসস্থানেরও সুযোগ করে দিয়েছেন। একদিকে যখন গ্রীস্মকালীন ফলন সংগ্রহ করা হচ্ছে অন্যদিকে আগাম শীতকালীন চারাও পরিচর্যা চলছে সমান তালে। সেখানেও বর্তমানে প্রায় ২৮ হাজার চারা নিবিড় পরিচর্যায় বড় হচ্ছে। আর এভাবেই স্থানীয় পর্যায়ে সহজলভ্য করতে বছরব্যাপী গ্রীষ্ম ও আগাম শীতকালীন টমেটো চাষে সারাদিনই টমেটোর দুটো মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মোবারক। বর্তমানে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের তার বাগানে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এরইমাঝে একটি সোলার সেচ পাম্পের জন্য আবেদন করেছি। তাছাড়াও পলিনেট হাউজে চারা উৎপাদন ও স্থানীয়ভাবে বারো মাস টমেটো সংরক্ষণে একটি কোল্ডস্টোরেজ নির্মানে সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। এছাড়াও পৃথক গ্রাফটিং ও চারা উৎপাদন করে চারা করছেন কৃষকদের কাছে।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ আফরিণা আক্তার জানান,আমরা তাকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি।