ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

বৃষ্টিতে তলিয়েছে মোংলার নিম্নাঞ্চল, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোংলায় ভারী বর্ষণে শহরের বেশিরভাগ এলাকা ও প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন অঞ্চলের মানুষেরাও।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রোববার পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মোংলা শহরের পাশাপাশি নিম্নাঞ্চলও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ভোগান্তিতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।

রোববার বেলা ১১টার দিকে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মোংলা শহর’সহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এক ফুটের বেশি পানি রয়েছে বা পৌরসভার রাস্তায় অনেক পানি দেখা যায়। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বি’সহ জীবনযাপন করছে।

এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পেটের টানে রাস্তায় বের হওয়া ইজিভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যাত্রী না থাকায় যেমন আয় নেই।

এক খুদে বার্তায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে অনেকের পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সোহাগ খান নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, চারজনের সংসার চলে আমার ওপর। তাই তো সকালে বৃষ্টির মধ্যে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু লোকজন নেই। ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১০০ টাকা হইছে কি না তা বলতে পারবো না। কি আর করা, একে তো বৃষ্টি তার ওপর রাস্তাগুলো পানিতে প্লাবিত হচ্ছে, মানুষ বের হয়ে কোথায় যাবে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শহরের রাস্তাগুলো ভাঙা, এরইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই শহরের অধিকাংশ রাস্তায় জমে থাকে পানি। যাত্রী পাওয়া যায় না। ইনকাম করতে কষ্ট হয়। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

এ বিষয়ে মোংলার জয়মনি এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া নামের এক নারী বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায়। আমাদের এখানকার ৬’টি পরিবাবের একই অবস্থা। বৃষ্টি ও নদীর পানি না কমা পর্যন্ত আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব না।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ এলাকায় অচিন্ত চৌধুরী নামের এক মৎস্য চাষি বলেন, আমাদের মৎস্য ঘেরে জোয়ারের পানিতে বড় কোন প্রভাব ফেলতে না পারলেও, বৃষ্টির পানিতে ঘেরের ব্যপক ক্ষতি করেছে।

বেরি তলিয়ে ঘেরের চিংড়ি মাছ’সহ সকল প্রকার মাছ বের হয়ে গেছে। এই ভারী বৃষ্টির পানিতে অনেকেরই ঘের তলিয়ে গেছে। কারও কারও ঘেরের বেরি ভেঙ্গে গেছে। আমার নিজের ঘেরও তলিয়ে গেছে। এখনো নদী-খালে পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় বৃষ্টির পানি মাঠ থেকে নামতে পারেনি, সবগুলো ঘের ডুবে রয়েছে বা যাচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

বৃষ্টিতে তলিয়েছে মোংলার নিম্নাঞ্চল, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

আপডেট সময় ০৭:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোংলায় ভারী বর্ষণে শহরের বেশিরভাগ এলাকা ও প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন অঞ্চলের মানুষেরাও।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রোববার পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মোংলা শহরের পাশাপাশি নিম্নাঞ্চলও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ভোগান্তিতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।

রোববার বেলা ১১টার দিকে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মোংলা শহর’সহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এক ফুটের বেশি পানি রয়েছে বা পৌরসভার রাস্তায় অনেক পানি দেখা যায়। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বি’সহ জীবনযাপন করছে।

এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পেটের টানে রাস্তায় বের হওয়া ইজিভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যাত্রী না থাকায় যেমন আয় নেই।

এক খুদে বার্তায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে অনেকের পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সোহাগ খান নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, চারজনের সংসার চলে আমার ওপর। তাই তো সকালে বৃষ্টির মধ্যে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু লোকজন নেই। ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১০০ টাকা হইছে কি না তা বলতে পারবো না। কি আর করা, একে তো বৃষ্টি তার ওপর রাস্তাগুলো পানিতে প্লাবিত হচ্ছে, মানুষ বের হয়ে কোথায় যাবে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শহরের রাস্তাগুলো ভাঙা, এরইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই শহরের অধিকাংশ রাস্তায় জমে থাকে পানি। যাত্রী পাওয়া যায় না। ইনকাম করতে কষ্ট হয়। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

এ বিষয়ে মোংলার জয়মনি এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া নামের এক নারী বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায়। আমাদের এখানকার ৬’টি পরিবাবের একই অবস্থা। বৃষ্টি ও নদীর পানি না কমা পর্যন্ত আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব না।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ এলাকায় অচিন্ত চৌধুরী নামের এক মৎস্য চাষি বলেন, আমাদের মৎস্য ঘেরে জোয়ারের পানিতে বড় কোন প্রভাব ফেলতে না পারলেও, বৃষ্টির পানিতে ঘেরের ব্যপক ক্ষতি করেছে।

বেরি তলিয়ে ঘেরের চিংড়ি মাছ’সহ সকল প্রকার মাছ বের হয়ে গেছে। এই ভারী বৃষ্টির পানিতে অনেকেরই ঘের তলিয়ে গেছে। কারও কারও ঘেরের বেরি ভেঙ্গে গেছে। আমার নিজের ঘেরও তলিয়ে গেছে। এখনো নদী-খালে পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় বৃষ্টির পানি মাঠ থেকে নামতে পারেনি, সবগুলো ঘের ডুবে রয়েছে বা যাচ্ছে।