ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খুলনায় পুত্রের হাতে পিতা খুন Logo দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উদাও Logo অনলাইন ছুটি সিস্টেম এবং লোকেশন ট্র্যাকিং চালু প্রয়োজন Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo পলাশবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার Logo মহেশখালীতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার Logo মানবাধিকার পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে চীন Logo চীন প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা Logo জাতিসংঘভিত্তিক শান্তি ও উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি

বৃষ্টিস্নাত

বৃষ্টিস্নাত
সংদীপ্তা

একটু বড়ো হওয়ার পর থেকেই
আর বৃষ্টি ভিজিনি কোনোদিন।
দাঁড়িয়ে পড়েছি।
ছাউনির তলায় অপেক্ষা করেছি বৃষ্টি থামবার।

বড়ো ইচ্ছে করে বৃষ্টির কাছে যেতে।
আজও একঝাঁক বৃষ্টির সামনে নিজেকে মেলে ধরতে ইচ্ছে করে খুব।
কিন্তু এখন আর অমন করে বৃষ্টি ভেজা যায়না।

এই বয়সটাই ভীষণ খারাপ!
সকলের কুনজর থাকে আমাদের দিকে।
সদাসতর্ক হয়ে বৃষ্টি ভিজবো কীকরে?
অতো ভয়ে ভয়ে শীতল হওয়া যায় বুঝি!

বৃষ্টির জল গায়ে পড়লেই সুতির জামা
শরীরে আঁট হয়ে চেপে বসে।
সে তো ইচ্ছাকৃত নয়।
তবু মা বলে-“ওই পোশাকে বেরোলে
মন্দ বলবে লোকে।”
আর মন্দ হবার ভয়টা তো আমার বরাবরের।

সবদিক ভেবে সাবধানে পা টিপে টিপে
বাড়ি আসি।
আমি তো স্পর্শকাতর-যদি ছুঁয়ে দেয় ভুল লোকে!
যদি দূর থেকে কেউ দেখে আড় চোখে!
যদি কারও ভালো লেগে যায়
ওই বৃষ্টি ধোয়া অঙ্গসৌষ্ঠব!
তবে সেই কথা বাড়িতে জানাবো কোন মুখে?

বৃষ্টি ভিজলেই আমি অশালীন।
তাই বহু দিন হয়ে গেলো,যাইনি বৃষ্টির কাছে।
শুধু বুক ভরে নিয়েছি মাটির সোঁদা গন্ধ।
মাটি ভিজেছে,তবে মনের মাটি রুক্ষ অনেক কাল।

ভাবছি এই বর্ষায় নিয়ম ভাঙলে কেমন হয়?
বৃষ্টির কাছে গিয়ে যদি হাত পাতি!
বদনাম হয়ে যাবে রাতারাতি?

তবে তাই হোক।
নষ্ট মেয়েই হবো নাহয়।
যারা উন্নাসিকের মতোন বৃষ্টি ভেজে,
আনন্দে মশগুল সারারাত।

আমিও তাদেরই দলে-
হাওয়ায় ওড়াবো চুল খোপা খুলে।।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় পুত্রের হাতে পিতা খুন

SBN

SBN

বৃষ্টিস্নাত

আপডেট সময় ১১:০২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

বৃষ্টিস্নাত
সংদীপ্তা

একটু বড়ো হওয়ার পর থেকেই
আর বৃষ্টি ভিজিনি কোনোদিন।
দাঁড়িয়ে পড়েছি।
ছাউনির তলায় অপেক্ষা করেছি বৃষ্টি থামবার।

বড়ো ইচ্ছে করে বৃষ্টির কাছে যেতে।
আজও একঝাঁক বৃষ্টির সামনে নিজেকে মেলে ধরতে ইচ্ছে করে খুব।
কিন্তু এখন আর অমন করে বৃষ্টি ভেজা যায়না।

এই বয়সটাই ভীষণ খারাপ!
সকলের কুনজর থাকে আমাদের দিকে।
সদাসতর্ক হয়ে বৃষ্টি ভিজবো কীকরে?
অতো ভয়ে ভয়ে শীতল হওয়া যায় বুঝি!

বৃষ্টির জল গায়ে পড়লেই সুতির জামা
শরীরে আঁট হয়ে চেপে বসে।
সে তো ইচ্ছাকৃত নয়।
তবু মা বলে-“ওই পোশাকে বেরোলে
মন্দ বলবে লোকে।”
আর মন্দ হবার ভয়টা তো আমার বরাবরের।

সবদিক ভেবে সাবধানে পা টিপে টিপে
বাড়ি আসি।
আমি তো স্পর্শকাতর-যদি ছুঁয়ে দেয় ভুল লোকে!
যদি দূর থেকে কেউ দেখে আড় চোখে!
যদি কারও ভালো লেগে যায়
ওই বৃষ্টি ধোয়া অঙ্গসৌষ্ঠব!
তবে সেই কথা বাড়িতে জানাবো কোন মুখে?

বৃষ্টি ভিজলেই আমি অশালীন।
তাই বহু দিন হয়ে গেলো,যাইনি বৃষ্টির কাছে।
শুধু বুক ভরে নিয়েছি মাটির সোঁদা গন্ধ।
মাটি ভিজেছে,তবে মনের মাটি রুক্ষ অনেক কাল।

ভাবছি এই বর্ষায় নিয়ম ভাঙলে কেমন হয়?
বৃষ্টির কাছে গিয়ে যদি হাত পাতি!
বদনাম হয়ে যাবে রাতারাতি?

তবে তাই হোক।
নষ্ট মেয়েই হবো নাহয়।
যারা উন্নাসিকের মতোন বৃষ্টি ভেজে,
আনন্দে মশগুল সারারাত।

আমিও তাদেরই দলে-
হাওয়ায় ওড়াবো চুল খোপা খুলে।।