ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা Logo আজ ১৬ ডিসেম্বর: মহাবিজয়ের আলোয় উদ্ভাসিত একাত্তরের রণক্ষেত্রের চূড়ান্ত ইতিহাস Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ

বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে একসাথে এগোবে চীন-ইন্দোনেশিয়া

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

চীনের প্রেসিডেন্ট ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বেইজিংয়ের মহাগণভবনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সাথে সাক্ষাৎ করেন, যিনি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ-যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশেষ আমন্ত্রণে চীনে আসেন।

সু চিন পিং উল্লেখ করেন যে, বিভিন্ন অসুবিধা সত্ত্বেও চীনে স্মারক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তোর উপস্থিতি চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক এবং চীনা জনগণের প্রতি ইন্দোনেশিয়ান জনগণের আন্তরিক বন্ধুত্বের প্রতি জাকার্তার গুরুত্ব প্রদর্শন করে। চীন, প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তোর প্রশাসনকে সমর্থন করে, দ্রুত শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে দেশটিকে সমর্থন করে এবং দেশটির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে। এই বছর চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী, ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার ৮০তম বার্ষিকী এবং বান্দুং সম্মেলনের ৭০তম বার্ষিকী।

আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন যেভাবেই হোক না কেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া সর্বদা স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরশীলতার চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে, সহাবস্থানের ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক এবং জয়-জয় পদ্ধতি অনুসরণ করেছে এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের জন্য প্রধান দেশগুলোর দায়িত্ব প্রদর্শন করেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মূল আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখতে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি এবং বান্দুং চেতনাকে উন্নীত করতে, উচ্চস্তরে চীন-ইন্দোনেশিয়ার অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনকে এগিয়ে নিতে এবং মানব অগ্রগতির লক্ষ্যে যথাযথ অবদান রাখতে চীন ইন্দোনেশিয়ার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

সি চিন পিং জোর দিয়েছিলেন যে, উভয়পক্ষের সঠিক পথে থাকা উচিত, তাদের উন্নয়ন কৌশলগুলোর মধ্যে সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতা এবং সমন্বয়কে আরও গভীর করা উচিত, চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কের স্থিতিশীল এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে উৎসাহিত করা উচিত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে ‘দুই প্লাস দুই’ সংলাপ ব্যবস্থার সদ্ব্যবহারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

যৌথভাবে উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে নির্মাণ করা, দ্বিমুখী উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ করা এবং মূল খনিজ, ডিজিটাল অর্থনীতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কৃষি ও মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা উচিত্। চীন ইন্দোনেশিয়ার সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে, কর্মী বিনিময় সহজতর করতে এবং জনগণের সাথে জনগণের আদান-প্রদান বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক। গ্লোবাল সাউথের বড় দেশ হিসেবে, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ার একতরফা নিপীড়ন বিরোধিতা করার জন্য একসাথে কাজ করা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করা উচিত।

সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা

SBN

SBN

বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে একসাথে এগোবে চীন-ইন্দোনেশিয়া

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চীনের প্রেসিডেন্ট ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বেইজিংয়ের মহাগণভবনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সাথে সাক্ষাৎ করেন, যিনি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ-যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশেষ আমন্ত্রণে চীনে আসেন।

সু চিন পিং উল্লেখ করেন যে, বিভিন্ন অসুবিধা সত্ত্বেও চীনে স্মারক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তোর উপস্থিতি চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক এবং চীনা জনগণের প্রতি ইন্দোনেশিয়ান জনগণের আন্তরিক বন্ধুত্বের প্রতি জাকার্তার গুরুত্ব প্রদর্শন করে। চীন, প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তোর প্রশাসনকে সমর্থন করে, দ্রুত শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে দেশটিকে সমর্থন করে এবং দেশটির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে। এই বছর চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী, ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার ৮০তম বার্ষিকী এবং বান্দুং সম্মেলনের ৭০তম বার্ষিকী।

আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন যেভাবেই হোক না কেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া সর্বদা স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরশীলতার চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে, সহাবস্থানের ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক এবং জয়-জয় পদ্ধতি অনুসরণ করেছে এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের জন্য প্রধান দেশগুলোর দায়িত্ব প্রদর্শন করেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মূল আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখতে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি এবং বান্দুং চেতনাকে উন্নীত করতে, উচ্চস্তরে চীন-ইন্দোনেশিয়ার অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনকে এগিয়ে নিতে এবং মানব অগ্রগতির লক্ষ্যে যথাযথ অবদান রাখতে চীন ইন্দোনেশিয়ার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

সি চিন পিং জোর দিয়েছিলেন যে, উভয়পক্ষের সঠিক পথে থাকা উচিত, তাদের উন্নয়ন কৌশলগুলোর মধ্যে সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতা এবং সমন্বয়কে আরও গভীর করা উচিত, চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কের স্থিতিশীল এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে উৎসাহিত করা উচিত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে ‘দুই প্লাস দুই’ সংলাপ ব্যবস্থার সদ্ব্যবহারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

যৌথভাবে উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে নির্মাণ করা, দ্বিমুখী উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ করা এবং মূল খনিজ, ডিজিটাল অর্থনীতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কৃষি ও মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা উচিত্। চীন ইন্দোনেশিয়ার সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে, কর্মী বিনিময় সহজতর করতে এবং জনগণের সাথে জনগণের আদান-প্রদান বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক। গ্লোবাল সাউথের বড় দেশ হিসেবে, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ার একতরফা নিপীড়ন বিরোধিতা করার জন্য একসাথে কাজ করা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করা উচিত।

সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।