
মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়কে একসাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ে কোন বৈষম্য চাইনা, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে।
১৯ এপ্রিল শনিবার রাঙ্গামাটির চিং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসামবস্তির মারমা সংস্কৃতি সংস্থা আয়োজিত সাংগ্রাই উৎসব ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, আমরা প্রত্যেক কমিউনিটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চাই। এজন্য সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট এবং ভারসাম্য পরিবেশ। যা গড়ে তোলা খুবই জরুরি।
জলকেলি উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালিয়ান, আ্যম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস আ্যম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা ফিতা কেটে ও পানি ছিটিয়ে জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এর পর ছোট ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানি দিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে জলকেলি উৎসবে সবাই মেতে ওঠেন।
জলকেলির পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে রাঙ্গামাটি মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা- মাসসের সভাপতি থোয়াই সুই খই মারমা’র সভাপতিত্বে জলকেলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।