ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মুন্নি (২৪) নামে এক অন্তঃসত্বা গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুকবার ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। পরকিয়া প্রেমে বিয়ে করার জেরে মুন্নি নামের গৃহ বধূর মৃত্যু। মুন্নি উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া (সদর) গ্রামের মাহফুজের স্ত্রী, তার শ্বশুর স্বর্ণকার পলাশ। মুন্নি উপজেলার দীর্ঘভূমি গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে।
মুন্নির ফুফু সহিদ মিয়ার স্ত্রী স্বপনা আক্তার
জানায়, দেড় বছর পূর্বে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশের ছেলে মাহফুজের সাথে পরকীয়ার জেরে মুন্নির পালিয়ে গিয়ে প্রথমে কুমিল্লা শহরে বিয়ে করে কয়েক মাস ভাড়া থেকে, পরে চট্টগ্রামে বসবাস করে।
এর পূর্বে মুন্নি পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ফাতেহাবাদ গ্রামের সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসের সাথে বিয়ে হয়ে ছিল। ওই সংসারে লামিয়া (৯) ও লামহা (৩) নামে দুই সন্তান রয়েছে। তার পূর্বের স্বামী আব্দুল কুদ্দুস বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার অন্তসত্ত্বা মুন্নির বর্তমান স্বামী মাহফুজের সাথে চট্টগ্রাম থেকে প্রাইভেটকার যুগে স্বামীর পিত্রালয়ে ফিরছিলেন। আসার পথে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের দক্ষিণ পাশে মাহফুজ প্রাইভেটকার থেকে নেমে যায়।
পরবর্তীতে প্রাইভেট কারের ড্রাইভার ইমদাদুল মিজান মুন্নির দেহ প্রাইভেটকারের মধ্যে পরে থাকতে দেখে তাকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মন্নির দুই থেকে তিন ঘন্টা পূর্বে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। মুন্নি ১০ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন।
এ বিষয়ে মুন্নির ফুফু স্বপ্না বলেন, মুন্নির নিকট তার স্বামী প্রায় সময় টাকা চাইতেন, আমরা গত সপ্তাহে তার স্বামীকে বিকাশের মাধ্যম টাকা পাঠিয়েছি। আমার ভাইয়ের মেয়ে মুন্নিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানতে পারলাম মেয়েটি ডেলিভারি তারিখ অনেক আগেই চলে গেছে। আজ স্বামী ও স্ত্রী একটি প্রাইভেট কার যোগে চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণপাড়া আসছিল। পথে মুন্নির অবস্থা অবনতি দেখে ব্রাহ্মণপাড়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাওয়ার পরামর্শ দেন। কুমিল্লা নেওয়ার পথে সে মারা যায়।