ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হকের হ্যাট্রিক জয়

জাকারিয়া জাকির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ি তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট।

আনিসুল হকের নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. শাহীন খান। তিনি পেয়েছেন ৬৫৮৬ ভোট। এছাড়া প্রতিদ্বদ্বীতা করেছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ। তবে ওই দু’জনই জামানত হারিয়েছেন।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ক্লিন ইমেজের কারণে পরবর্তী মন্ত্রীসভায়ও তিনি ঠাঁয় পেতে যাচ্ছেন বলে অনেকটা নিশ্চিত।

এদিকে হরতালের মধ্যেও সারাদেশের মানুষ স্বতস্ফ‚র্তভাবে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি। রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট প্রয়োগ করা একটা আনন্দের বিষয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আরো আনন্দিত আমি খবর নিয়ে আসলাম সারাদেশে মানুষ স্বতস্ফ‚র্তভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছে। তার মানে জনগণ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এটাই প্রমাণিত হচ্ছে। আর বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাসনকে প্রত্যাখান করেছে।

হরতাল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এম.পি আরো বলেন, ‘আপনারাই দেখেছেন মানুষ গাড়ি চড়ে রিকশায় চড়ে ভোট দিতে আসছে। হরতাল থাকলে তো এগুলা বন্ধ থাকার কথা। তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এই হরতাল মানে না। এই হরতাল প্রত্যাখান করেছে।

বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের রাজনৈতিক রীতি সম্পর্কে আমার উচ্চ ধারণা নাই। তারা ভুল করেছে কি সঠিক করেছেন বলতে পারব না। সেই ক্ষেত্রে আমি বলবো গণতন্ত্র মনা যারা বিএনপি’র মধ্যে আছে তারা অবশ্যই ভুল করেছেন। তার কারণ হচ্ছে তারা জনগণের কাছে তাদের গ্রহনযোগ্যতার পরীক্ষার নেন নাই।

কসবা ও আখাউড়ায় মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ দুই হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৭ হাজার ৮৪৭ জন, নারী এক লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯ জন ও হিজড়া চারজন জন। কসবা উপজেলার ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৬টি। আখাউড়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ২০৪টি।

এদিকে শক্ত প্রতিদ্বদ্বী না থাকায় কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় ভোটার টানা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগের জন্য। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই উপজেলাতেই কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আনতে সহযোগিতা করেন। এ আসনে ৫০ ভাগের মতো ভোট পড়ে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হকের হ্যাট্রিক জয়

আপডেট সময় ১০:১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

জাকারিয়া জাকির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ি তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট।

আনিসুল হকের নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. শাহীন খান। তিনি পেয়েছেন ৬৫৮৬ ভোট। এছাড়া প্রতিদ্বদ্বীতা করেছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ। তবে ওই দু’জনই জামানত হারিয়েছেন।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ক্লিন ইমেজের কারণে পরবর্তী মন্ত্রীসভায়ও তিনি ঠাঁয় পেতে যাচ্ছেন বলে অনেকটা নিশ্চিত।

এদিকে হরতালের মধ্যেও সারাদেশের মানুষ স্বতস্ফ‚র্তভাবে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি। রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট প্রয়োগ করা একটা আনন্দের বিষয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আরো আনন্দিত আমি খবর নিয়ে আসলাম সারাদেশে মানুষ স্বতস্ফ‚র্তভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছে। তার মানে জনগণ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এটাই প্রমাণিত হচ্ছে। আর বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাসনকে প্রত্যাখান করেছে।

হরতাল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এম.পি আরো বলেন, ‘আপনারাই দেখেছেন মানুষ গাড়ি চড়ে রিকশায় চড়ে ভোট দিতে আসছে। হরতাল থাকলে তো এগুলা বন্ধ থাকার কথা। তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এই হরতাল মানে না। এই হরতাল প্রত্যাখান করেছে।

বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের রাজনৈতিক রীতি সম্পর্কে আমার উচ্চ ধারণা নাই। তারা ভুল করেছে কি সঠিক করেছেন বলতে পারব না। সেই ক্ষেত্রে আমি বলবো গণতন্ত্র মনা যারা বিএনপি’র মধ্যে আছে তারা অবশ্যই ভুল করেছেন। তার কারণ হচ্ছে তারা জনগণের কাছে তাদের গ্রহনযোগ্যতার পরীক্ষার নেন নাই।

কসবা ও আখাউড়ায় মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ দুই হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৭ হাজার ৮৪৭ জন, নারী এক লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯ জন ও হিজড়া চারজন জন। কসবা উপজেলার ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৬টি। আখাউড়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ২০৪টি।

এদিকে শক্ত প্রতিদ্বদ্বী না থাকায় কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় ভোটার টানা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগের জন্য। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই উপজেলাতেই কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আনতে সহযোগিতা করেন। এ আসনে ৫০ ভাগের মতো ভোট পড়ে।