ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম Logo মোংলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, তদন্তে বিএনপি Logo ভোট দিতে এসে প্রান হারালেন মোটর শ্রমিক সদস্য Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে – আবু হানিফ Logo কুমিল্লায়  জাতীয় গন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান Logo কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ৪ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ Logo রাঙ্গামাটিতে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু Logo মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবতীকে টেঁটা বিদ্ধ করলেন চাচা Logo শেরপুর সদর -১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম

ভর্তি বাণিজ্যের নামে নৈরাজ্য বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্যের নামে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১৩ ডিসেম্বর ২০২২ (মঙ্গলবার) দুপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের আল—আমিন আটিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে ২০২৩ সাল থেকে নিম্নোক্ত চার দফা দাবি কার্যকর অনুরোধ করা হয়— (১) রাষ্ট্রকে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি ফি বাতিল করে দ্রুত প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। (২) ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতনের অংক সারা একদেশ একবেতন নিয়ম করে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। (৩) সরকারি—বেসরকারি, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বাৎসরিক সর্বোচ্চ ২ টা পরীক্ষা নিয়মসহ সারাদেশে পরীক্ষার ফি একদেশ এক ফি’র নিয়ম করতে হবে। (৪) রাষ্ট্রকে সকল নাগরিকের নূন্যতম শিক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ও এর বাস্তবায়নের জন্য “বিনামূল্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা” ব্যবস্থা করতে হবে।

স্মারকলিপিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড—১৯ লকডাউন ও ইউরোপীয় যুদ্ধের প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পন্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে পড়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো মারাত্মক অর্থনৈতিক সমস্যায় পিষ্ট। সরকারের একাধিক লকডাউনের কারণে বহু উদীয়মান মেধাবী শিক্ষার্থী অকালে শিক্ষা ব্যবস্থা হতে ঝড়ে পড়ে গিয়েছে।বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে দেশের প্রায় প্রতিটি শহরের আনাচে—কানাচে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় বহু এক মালিকানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামান্তরে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেগুলোতে আদৌতে কোন প্রকার মানসম্মত শিক্ষা প্রদান তো দূরের কথা ন্যূনতম শিক্ষার ব্যবস্থাও নেই যা পত্রিকার খবরে প্রতীয়মান। যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা ও তার প্রয়োগ। আমরা আরো বিস্ময় নিয়ে অবাক হই যে, বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ সরকারি—বেসরকারি, এমপিওভুক্ত কিংবা মাদ্রাসা, কারিগরি বিদ্যালয়গুলোতেও ব্যক্তি—মালিকানা ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে। খুবই কষ্ট লাগে তখনই যখন দেখি একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে বছর শেষে একটি মোটা অংকের টাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পালন করলেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আমরা পাই নাই অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি শিক্ষাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের অধিকার ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছি। শিক্ষা ব্যবস্থা এভাবে চলতে থাকলে ও আগামীর বাংলাদেশকে বিজ্ঞানসম্মত ও গবেষণামূলক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হবো।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

SBN

SBN

ভর্তি বাণিজ্যের নামে নৈরাজ্য বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০৮:০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্যের নামে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১৩ ডিসেম্বর ২০২২ (মঙ্গলবার) দুপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের আল—আমিন আটিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে ২০২৩ সাল থেকে নিম্নোক্ত চার দফা দাবি কার্যকর অনুরোধ করা হয়— (১) রাষ্ট্রকে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি ফি বাতিল করে দ্রুত প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। (২) ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতনের অংক সারা একদেশ একবেতন নিয়ম করে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। (৩) সরকারি—বেসরকারি, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বাৎসরিক সর্বোচ্চ ২ টা পরীক্ষা নিয়মসহ সারাদেশে পরীক্ষার ফি একদেশ এক ফি’র নিয়ম করতে হবে। (৪) রাষ্ট্রকে সকল নাগরিকের নূন্যতম শিক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ও এর বাস্তবায়নের জন্য “বিনামূল্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা” ব্যবস্থা করতে হবে।

স্মারকলিপিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড—১৯ লকডাউন ও ইউরোপীয় যুদ্ধের প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পন্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে পড়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো মারাত্মক অর্থনৈতিক সমস্যায় পিষ্ট। সরকারের একাধিক লকডাউনের কারণে বহু উদীয়মান মেধাবী শিক্ষার্থী অকালে শিক্ষা ব্যবস্থা হতে ঝড়ে পড়ে গিয়েছে।বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে দেশের প্রায় প্রতিটি শহরের আনাচে—কানাচে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় বহু এক মালিকানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামান্তরে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেগুলোতে আদৌতে কোন প্রকার মানসম্মত শিক্ষা প্রদান তো দূরের কথা ন্যূনতম শিক্ষার ব্যবস্থাও নেই যা পত্রিকার খবরে প্রতীয়মান। যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা ও তার প্রয়োগ। আমরা আরো বিস্ময় নিয়ে অবাক হই যে, বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ সরকারি—বেসরকারি, এমপিওভুক্ত কিংবা মাদ্রাসা, কারিগরি বিদ্যালয়গুলোতেও ব্যক্তি—মালিকানা ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে। খুবই কষ্ট লাগে তখনই যখন দেখি একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে বছর শেষে একটি মোটা অংকের টাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পালন করলেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আমরা পাই নাই অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি শিক্ষাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের অধিকার ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছি। শিক্ষা ব্যবস্থা এভাবে চলতে থাকলে ও আগামীর বাংলাদেশকে বিজ্ঞানসম্মত ও গবেষণামূলক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হবো।