ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ Logo মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo কটিয়াদীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি Logo বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জনসাধারণের জন্য ৭ টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে কোস্ট গার্ড Logo বরুড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মহিলা দলের আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সুবিধাবঞ্চিত ও ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে সিড ফাউন্ডেশনের বিজয় দিবস উদযাপন

ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা ছাত্র ও রাজমিস্ত্রির মৃত্যু

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় গত দুই দিনে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাদরাসা ছাত্র ও এক রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। প্রথম ঘটনাটি শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ভালুকা পৌরসভার মল্লিকবাড়ি মোড়ে এবং দ্বিতীয়টি রোববার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা সরকারি কলেজ এলাকায় ঘটে। নিহতরা হলেন মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের সাতেঙ্গা গ্রামের মাদরাসা ছাত্র উবায়দুল ইসলাম (২০) ও নারাঙ্গী গ্রামের রাজমিস্ত্রি আল আমিন (২৫)।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় উবায়দুল ইসলাম তিন বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভালুকা বাজারের পাঁচরাস্তা মোড় থেকে কাঁঠালি নায়েবের বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মল্লিকবাড়ি মোড়ে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে চাপা দিলে উবায়দুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা সিজান ও ফাহাদ নামের দুই বন্ধুসহ অপর এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত উবায়দুল প্রবাসী সুরুজ মিয়ার একমাত্র সন্তান ছিলেন এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করতেন।

রোববার সকাল সাতটায় ভালুকা সরকারি কলেজ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পথ পারাপারের সময় ঢাকাগামী একটি অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় পড়ে আল আমিন মৃত্যুবরণ করেন। আল আমিন নারাঙ্গী গ্রামে নানার বাড়িতে মা ও দুই ছোট ভাই-বোনের সাথে বসবাস করতেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। স্থানীয়রা জানান, তিনি নিয়মিত ওই সড়ক দিয়ে কাজে যাতায়াত করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা অংশে গতি কমানোর জন্য স্পিড ব্রেকার ও ট্রাফিক পুলিশের অভাব রয়েছে। গত কয়েক মাসে এ সড়কে একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা চলছে বলে তাদের দাবি।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উভয় ঘটনায় নিহতদের লাশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাক ও গাড়িচালকদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ

SBN

SBN

ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা ছাত্র ও রাজমিস্ত্রির মৃত্যু

আপডেট সময় ০২:৫৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় গত দুই দিনে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাদরাসা ছাত্র ও এক রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। প্রথম ঘটনাটি শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ভালুকা পৌরসভার মল্লিকবাড়ি মোড়ে এবং দ্বিতীয়টি রোববার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা সরকারি কলেজ এলাকায় ঘটে। নিহতরা হলেন মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের সাতেঙ্গা গ্রামের মাদরাসা ছাত্র উবায়দুল ইসলাম (২০) ও নারাঙ্গী গ্রামের রাজমিস্ত্রি আল আমিন (২৫)।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় উবায়দুল ইসলাম তিন বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভালুকা বাজারের পাঁচরাস্তা মোড় থেকে কাঁঠালি নায়েবের বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মল্লিকবাড়ি মোড়ে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে চাপা দিলে উবায়দুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা সিজান ও ফাহাদ নামের দুই বন্ধুসহ অপর এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত উবায়দুল প্রবাসী সুরুজ মিয়ার একমাত্র সন্তান ছিলেন এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করতেন।

রোববার সকাল সাতটায় ভালুকা সরকারি কলেজ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পথ পারাপারের সময় ঢাকাগামী একটি অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় পড়ে আল আমিন মৃত্যুবরণ করেন। আল আমিন নারাঙ্গী গ্রামে নানার বাড়িতে মা ও দুই ছোট ভাই-বোনের সাথে বসবাস করতেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। স্থানীয়রা জানান, তিনি নিয়মিত ওই সড়ক দিয়ে কাজে যাতায়াত করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা অংশে গতি কমানোর জন্য স্পিড ব্রেকার ও ট্রাফিক পুলিশের অভাব রয়েছে। গত কয়েক মাসে এ সড়কে একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা চলছে বলে তাদের দাবি।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উভয় ঘটনায় নিহতদের লাশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাক ও গাড়িচালকদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।