
মোহাম্মদ আলী সুমন
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এতে কয়েক মিলিয়ন মুসল্লি অংশ নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের ইতিহাসে এত বৃহৎ জানাজার আর কোনো দৃষ্টান্ত নেই।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ৫ মিনিটে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক জানাজায় ইমামতি করেন।

জানাজার আগে খালেদা জিয়ার একমাত্র পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি মায়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার কাছে কারও কোনো ঋণ বা পাওনা থাকলে যোগাযোগ করতে বলেন। এছাড়া তাঁর আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানান।
জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, কূটনৈতিক প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

যদিও জানাজার মূল আয়োজন সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নির্ধারিত ছিল, তবে মুসল্লির ঢল ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফার্মগেট, বিজয় সরনি, আগারগাঁও, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর ও তেজগাঁও পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে গতকাল থেকেই রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নামে।
এর আগে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাজা হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজার কথা উল্লেখ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির জানাজাও ছিল স্মরণকালের বৃহৎ। তবে সব রেকর্ড ছাপিয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা ইতিহাসের পাতায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ও ভালোবাসায় এমন বিদায় এর আগে কোনো রাজনৈতিক নেতা পাননি।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 






















