ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন

মঙ্গলে ছিল পানি, ছিল পরিবেশও-তবুও প্রাণ টেকেনি!

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ২৬১ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এক সময় বিশাল জলরাশি থাকলেও আজ কেন প্রাণহীন ও মরুভূমিতে পরিণত—বিজ্ঞানীরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন বহু বছর ধরে। এবার নাসার কিউরিয়োসিটি রোভার পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ ব্যাখ্যা।

নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, মঙ্গলে বিস্তৃতভাবে কার্বনেট খনিজে সমৃদ্ধ শিলার অস্তিত্ব রয়েছে। এসব শিলা পৃথিবীর চুনাপাথরের মতো, যা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে জমা রাখে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও নাসার কিউরিয়োসিটি দলের সদস্য এডউইন কাইট এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন।

কাইট বলেন, ‘‘মঙ্গলের কোনো কোনো অংশে কিছু সময়ের জন্য প্রাণের অনুকূল পরিবেশ ছিল, তবে তা ছিল ব্যতিক্রম।’’ কারণ, প্রাণের জন্য দরকারি প্রায় সব উপাদান থাকলেও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জল ছিল অস্থায়ী। কিউরিয়োসিটি ও ২০২১ সালে পার্সিভারেন্স রোভারও কার্বনেট শিলার প্রমাণ পেয়েছে মঙ্গলের শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের আশপাশে।

গবেষণা বলছে, পৃথিবীতে কার্বনচক্রের একটি সুষম ঘূর্ণন রয়েছে—বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে বের হয় আবার চুনাপাথরে আটকে যায়। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের হার কম হওয়ায় সেই চক্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে গ্রহটি ঠান্ডা, অনুর্বর ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে।

নতুন তথ্য অনুযায়ী, কোটি কোটি বছর আগে কিছু সময়ের জন্য মঙ্গলে পানি ছিল। তারপর প্রায় ১০ কোটির বেশি বছর ধরে মঙ্গল পরিণত হয়েছে এক বিশাল মরুভূমিতে। এমন দীর্ঘ প্রতিকূলতায় প্রাণ টিকে থাকা সম্ভব হয়নি।

তবে বিজ্ঞানীরা এখনো আশাবাদী। কাইট বলেন, মঙ্গলের গভীর ভূগর্ভে হয়তো এখনও পানি আছে, কিন্তু আমরা তা খুঁজে পাইনি। কার্বনেট জাতীয় শিলার আরও প্রমাণ পাওয়া গেলে এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব হবে।

সূত্র: নেচার জার্নাল, এএফপি

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

SBN

SBN

মঙ্গলে ছিল পানি, ছিল পরিবেশও-তবুও প্রাণ টেকেনি!

আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এক সময় বিশাল জলরাশি থাকলেও আজ কেন প্রাণহীন ও মরুভূমিতে পরিণত—বিজ্ঞানীরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন বহু বছর ধরে। এবার নাসার কিউরিয়োসিটি রোভার পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ ব্যাখ্যা।

নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, মঙ্গলে বিস্তৃতভাবে কার্বনেট খনিজে সমৃদ্ধ শিলার অস্তিত্ব রয়েছে। এসব শিলা পৃথিবীর চুনাপাথরের মতো, যা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে জমা রাখে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও নাসার কিউরিয়োসিটি দলের সদস্য এডউইন কাইট এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন।

কাইট বলেন, ‘‘মঙ্গলের কোনো কোনো অংশে কিছু সময়ের জন্য প্রাণের অনুকূল পরিবেশ ছিল, তবে তা ছিল ব্যতিক্রম।’’ কারণ, প্রাণের জন্য দরকারি প্রায় সব উপাদান থাকলেও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জল ছিল অস্থায়ী। কিউরিয়োসিটি ও ২০২১ সালে পার্সিভারেন্স রোভারও কার্বনেট শিলার প্রমাণ পেয়েছে মঙ্গলের শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের আশপাশে।

গবেষণা বলছে, পৃথিবীতে কার্বনচক্রের একটি সুষম ঘূর্ণন রয়েছে—বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে বের হয় আবার চুনাপাথরে আটকে যায়। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের হার কম হওয়ায় সেই চক্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে গ্রহটি ঠান্ডা, অনুর্বর ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে।

নতুন তথ্য অনুযায়ী, কোটি কোটি বছর আগে কিছু সময়ের জন্য মঙ্গলে পানি ছিল। তারপর প্রায় ১০ কোটির বেশি বছর ধরে মঙ্গল পরিণত হয়েছে এক বিশাল মরুভূমিতে। এমন দীর্ঘ প্রতিকূলতায় প্রাণ টিকে থাকা সম্ভব হয়নি।

তবে বিজ্ঞানীরা এখনো আশাবাদী। কাইট বলেন, মঙ্গলের গভীর ভূগর্ভে হয়তো এখনও পানি আছে, কিন্তু আমরা তা খুঁজে পাইনি। কার্বনেট জাতীয় শিলার আরও প্রমাণ পাওয়া গেলে এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব হবে।

সূত্র: নেচার জার্নাল, এএফপি