
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেয়াই পুলিশের কাজ। জনগণের সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার লক্ষেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।
বুধবার (৩১জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সরাইল থানার আয়োজনে ‘বিট পুলিশিং বাড়ি নিরাপদ সমাজ গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত বিট পুলিশিং সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পিপিএম) মো. ইকবাল হোছাইন। সরাইল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. জয়নাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রকিবুল ইসলাম, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, ইউপি আ’লীগের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান, সম্পাদক মো. ইসমাঈল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নান্নু মিয়া, আ’লীগ নেতা আবু শামীম মো. ছানা, আলী মিয়া ও আবদুর রহিম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, পুলিশি সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে আপডেট ব্যবস্থা হচ্ছে বিট পুলিশিং। তুচ্ছ ঘটনায় এই এলাকায় আর খুনের ঘটনা যেন না ঘটে, খুনের ঘটনা দেখতে চায় না পুলিশ । দয়া করে কেউ লাঠি বল্লম টেঁটা তীঁর, শল, ধনুক এই গুলো সংরক্ষণ করবেন না। কারণ রাগ বা উত্তেজিত হলে আপনারা এই অস্ত্র গুলো নিজের স্বজনদের উপর ব্যবহার করেন, এই কাজ আর করা যাবে না।
আজকে আমার এই আহবানের পর কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেলে আপনার বা আপনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। আপনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও হতে পারে। প্রতিবেশী বা গ্রামের কারো সাথে বিরোধ হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বা জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে নিস্পত্তি করবেন। সম্ভব না হলে পুলিশের সহায়তা নিবেন। পুলিশ আপনাকে সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত।
এছাড়া মাদক প্রতিরোধে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানানো হয় সভায়। যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ সবসময় জনগণের পাশে থাকবে বলে সভায় আস্বস্ত করা হয়।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























