ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ধোপাজান নদীতে বালু লুটপাট থামছেই না : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার Logo মহেশখালীতে ৩ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo শনিবার নিজ এলাকায় সংবর্ধনা পাচ্ছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক মোঃ শাহ আলম Logo পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ভিত্তিতে চীন-স্লোভেনিয়া সম্পর্ক স্থিতিশীল Logo ডিজিটাল অর্থনীতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা Logo উন্মুক্ততা, সংস্কৃতি, অভিন্ন শিকড়’ চীন-আসিয়ান নতুন সেতুবন্ধন Logo সংস্কৃতি বর্ষ উদযাপনে চীন–রাশিয়ার নতুন উদ্যোগ Logo সিআইআইই চীনের বিশ্ব সংযোগের সেতু: লি ছিয়াং Logo মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ Logo দেবিদ্বারে ফ্রিজে পচা খাবার রাখায় তিন হোটেলকে জরিমানা

মামলাগুলো টিকবে না, প্রথম ধাপও পার হতে পারবে না : ব্যারিস্টার সারা হোসেন

নিউজ ডেক্স

আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের যেসব মামলা হচ্ছে এগুলো টিকবে না এবং প্রথম ধাপ পার হতে পারবে না। ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মামলাগুলো। শনিবার (২৪ আগস্ট) ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’–এর উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে ব্যারিস্টার সারা হোসেন এসব কথা বলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে নানা ধরনের মামলা দেখা যাচ্ছে। কোনোটিতে ৩০, ৪০ ও ৫০ জনের বেশি করে আসামি। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপই পার হতে পারবে না। মামলাগুলো আন্দোলন ও আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা বন্ধ করতে হবে।

সারা হোসেন বলেন, ‘এই মামলা কি পুলিশ করছে? সৎভাবে করছে? বুঝে করছে?’ তিনি বলেন, মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা নয়। ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইনে এখনো মামলা হচ্ছে এবং কিছুদিন ধরে তা আবার দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই আইনজীবী বলেন, নতুন স্বাধীনতায় ব্রিটিশ আমলের আইন টেনে আনা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের রিমান্ডে নিয়ে কী হচ্ছে, কে কী বলছে—সেসব বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে। এ প্রসঙ্গে সারা হোসেন বলেন, ১৫ বছর ধরে রিমান্ডে কী কথা হয়েছে, তা সূত্র দিয়ে গণমাধ্যমে আসছে। রিমান্ডে কী বলা হয়েছে বা না হয়েছে, তা কিন্তু কেউ জানে না। কিন্তু গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হচ্ছে। এটার জন্য কাউকে জবাবদিহি করা হয়নি। রিমান্ডের বক্তব্য এভাবে প্রকাশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনকে নিজের মতো চলতে দিন।’

সারা হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৮০ শিশুর নিহত হওয়ার ভিডিও ফুটেজ যদি কারও কাছে থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে এগোতে হবে। আদালতকে সুযোগ দিতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য।

এছাড়াও দ্রুত বিচার আইন ছাড়া এ অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের বিচারের মামলা কার্যক্রম সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সূত্র : বাংলাভিশন

আপলোডকারীর তথ্য

ধোপাজান নদীতে বালু লুটপাট থামছেই না : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

SBN

SBN

মামলাগুলো টিকবে না, প্রথম ধাপও পার হতে পারবে না : ব্যারিস্টার সারা হোসেন

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

নিউজ ডেক্স

আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের যেসব মামলা হচ্ছে এগুলো টিকবে না এবং প্রথম ধাপ পার হতে পারবে না। ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মামলাগুলো। শনিবার (২৪ আগস্ট) ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’–এর উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে ব্যারিস্টার সারা হোসেন এসব কথা বলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে নানা ধরনের মামলা দেখা যাচ্ছে। কোনোটিতে ৩০, ৪০ ও ৫০ জনের বেশি করে আসামি। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপই পার হতে পারবে না। মামলাগুলো আন্দোলন ও আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা বন্ধ করতে হবে।

সারা হোসেন বলেন, ‘এই মামলা কি পুলিশ করছে? সৎভাবে করছে? বুঝে করছে?’ তিনি বলেন, মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা নয়। ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইনে এখনো মামলা হচ্ছে এবং কিছুদিন ধরে তা আবার দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই আইনজীবী বলেন, নতুন স্বাধীনতায় ব্রিটিশ আমলের আইন টেনে আনা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের রিমান্ডে নিয়ে কী হচ্ছে, কে কী বলছে—সেসব বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে। এ প্রসঙ্গে সারা হোসেন বলেন, ১৫ বছর ধরে রিমান্ডে কী কথা হয়েছে, তা সূত্র দিয়ে গণমাধ্যমে আসছে। রিমান্ডে কী বলা হয়েছে বা না হয়েছে, তা কিন্তু কেউ জানে না। কিন্তু গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হচ্ছে। এটার জন্য কাউকে জবাবদিহি করা হয়নি। রিমান্ডের বক্তব্য এভাবে প্রকাশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনকে নিজের মতো চলতে দিন।’

সারা হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৮০ শিশুর নিহত হওয়ার ভিডিও ফুটেজ যদি কারও কাছে থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে এগোতে হবে। আদালতকে সুযোগ দিতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য।

এছাড়াও দ্রুত বিচার আইন ছাড়া এ অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের বিচারের মামলা কার্যক্রম সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সূত্র : বাংলাভিশন