ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বান্দরবানে পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ Logo ঢাকার শেরে বাংলা নগর থেকে ৩ ছিনতাইকারী আটক Logo বুড়িচংয়ে মাল বুঝাই অটোরিকশা খাদে পড়ে চালক নিহত Logo ইসলামী রাষ্ট্রে অন্য ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকবে- লাকসামে মিয়া গোলাম পরওয়ার Logo বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যু Logo দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুঁদে শিক্ষার্থীরা Logo মোংলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৩১ কেজি হরিণের মাংস জব্দ Logo গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান; ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি Logo চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান দেশি-বিদেশী মাদক ও ২ টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ Logo আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চাঁদপুরে এক আইনজীবীর সনদ স্থগিত

মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: ৩২ বছর সাজা ভোগের পর মুক্তি পেলেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।শাহজাহান ভূঁইয়ার বাড়ি নরসিংদীর পলাশ থাবার ইছামতী গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত।কারা সূত্রে জানা গেছে, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ বনেছিলেন শাহজাহান। একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন চার দেওয়ালের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেতে। অবশেষে সেই বাসনা সত্যি হয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জনের ফাঁসি দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, চারজন যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি নেতা বাংলাভাইসহ দুজন জেএমবি সদস্য এবং আরও ১৪ জন অন্যান্য আলোচিত মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।

তিনি জানান, শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানার ১০ হাজার টাকা কারা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছে।

জানা যায়, ১৯৭৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় শাহজাহানের ১৪৩ বছরের সাজা হয়। পরে ৮৭ বছরের সাজা মাফ করে তাকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে সেই সাজা ৪৩ বছরে এসে নামে। দুটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে অতিরিক্ত এক বছর জেল খেটে ৩২ বছর পর ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান।

১৯৮৯ সালে সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে শাহজাহান তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। এরপর কারাগারে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসলেই ডাক পড়তো তার। টানা আট বছর এই কাজ করার পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের স্বীকৃতি দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানে পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

SBN

SBN

মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: ৩২ বছর সাজা ভোগের পর মুক্তি পেলেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।শাহজাহান ভূঁইয়ার বাড়ি নরসিংদীর পলাশ থাবার ইছামতী গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত।কারা সূত্রে জানা গেছে, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ বনেছিলেন শাহজাহান। একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন চার দেওয়ালের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেতে। অবশেষে সেই বাসনা সত্যি হয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জনের ফাঁসি দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, চারজন যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি নেতা বাংলাভাইসহ দুজন জেএমবি সদস্য এবং আরও ১৪ জন অন্যান্য আলোচিত মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।

তিনি জানান, শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানার ১০ হাজার টাকা কারা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছে।

জানা যায়, ১৯৭৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় শাহজাহানের ১৪৩ বছরের সাজা হয়। পরে ৮৭ বছরের সাজা মাফ করে তাকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে সেই সাজা ৪৩ বছরে এসে নামে। দুটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে অতিরিক্ত এক বছর জেল খেটে ৩২ বছর পর ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান।

১৯৮৯ সালে সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে শাহজাহান তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। এরপর কারাগারে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসলেই ডাক পড়তো তার। টানা আট বছর এই কাজ করার পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের স্বীকৃতি দেন।