ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনা স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান, বৈঠকে আশাবাদী হ্য লিফেং Logo চীনের জনকল্যাণমূলক অবদানকে স্বাগত জানাল বিশ্ব Logo ৩০ কোটির বেশি ক্রেতা, হাইনানে শুল্কমুক্ত পণ্যে রেকর্ড বিক্রি Logo বুড়িচংয়ে ট্রাক চাপায় প্রবাস ফেরত যুবক নিহত Logo ‎বরুড়া শাকপুরে এলজিআরডি’র সড়ক ভেঙ্গে দিলো প্রভাবশালী পরিবার Logo বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে চীন-যুক্তরাষ্ট্র টিকটক সমস্যায় ঐক্যমতে Logo বৈশ্বিক অস্ত্র বিস্তার রোধে পারমাণবিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করার আহ্বান Logo অনুষ্ঠানস্থলেই বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রিংকুর মৃত্যুর Logo ঝিনাইদহে ৬ লেন রাস্তা তৈরীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মুল্যের দাবি Logo বিভিন্ন আযোজন এর মধ্যে দিয়ে কালীগঞ্জে বিশ্ব কর্ম পুজা পালিত

মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: ৩২ বছর সাজা ভোগের পর মুক্তি পেলেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।শাহজাহান ভূঁইয়ার বাড়ি নরসিংদীর পলাশ থাবার ইছামতী গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত।কারা সূত্রে জানা গেছে, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ বনেছিলেন শাহজাহান। একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন চার দেওয়ালের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেতে। অবশেষে সেই বাসনা সত্যি হয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জনের ফাঁসি দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, চারজন যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি নেতা বাংলাভাইসহ দুজন জেএমবি সদস্য এবং আরও ১৪ জন অন্যান্য আলোচিত মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।

তিনি জানান, শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানার ১০ হাজার টাকা কারা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছে।

জানা যায়, ১৯৭৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় শাহজাহানের ১৪৩ বছরের সাজা হয়। পরে ৮৭ বছরের সাজা মাফ করে তাকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে সেই সাজা ৪৩ বছরে এসে নামে। দুটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে অতিরিক্ত এক বছর জেল খেটে ৩২ বছর পর ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান।

১৯৮৯ সালে সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে শাহজাহান তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। এরপর কারাগারে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসলেই ডাক পড়তো তার। টানা আট বছর এই কাজ করার পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের স্বীকৃতি দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান, বৈঠকে আশাবাদী হ্য লিফেং

SBN

SBN

মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: ৩২ বছর সাজা ভোগের পর মুক্তি পেলেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।শাহজাহান ভূঁইয়ার বাড়ি নরসিংদীর পলাশ থাবার ইছামতী গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত।কারা সূত্রে জানা গেছে, সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় কয়েদি থেকে জল্লাদ বনেছিলেন শাহজাহান। একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন চার দেওয়ালের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেতে। অবশেষে সেই বাসনা সত্যি হয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জনের ফাঁসি দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, চারজন যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি নেতা বাংলাভাইসহ দুজন জেএমবি সদস্য এবং আরও ১৪ জন অন্যান্য আলোচিত মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।

তিনি জানান, শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানার ১০ হাজার টাকা কারা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছে।

জানা যায়, ১৯৭৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩৬টি মামলায় শাহজাহানের ১৪৩ বছরের সাজা হয়। পরে ৮৭ বছরের সাজা মাফ করে তাকে ৫৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর ও সশ্রম কারাদণ্ডের সুবিধার কারণে সেই সাজা ৪৩ বছরে এসে নামে। দুটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে অতিরিক্ত এক বছর জেল খেটে ৩২ বছর পর ১৮ জুন মুক্ত আকাশে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান।

১৯৮৯ সালে সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে শাহজাহান তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। এরপর কারাগারে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসলেই ডাক পড়তো তার। টানা আট বছর এই কাজ করার পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের স্বীকৃতি দেন।