ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে কিশোরীকে ধর্ষনের পর গলাকেটে হত্যা

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লার মুরাদনগরে কিশোরীকে ধর্ষনের পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় কিশোরীর হাত পা বাধা বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরের বিছানা থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরী রাবেয়া আক্তার(১৬) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।

জানা যায়, নিহত কিশোরীর স্থানীয় রবি মিয়ার বাড়ীতে কাজ করতে আসা এক নির্মাণ শ্রমিকের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। ঘটনার রাতেও ভিকটিমের মোবাইল ফোন থেকে তার সাথে ইমুতে চ্যাটিং করা হয়েছে। তার প্রেমিকই ধর্ষনের পর এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নিহতের মা আমেনা বেগম বলেন, আমরা বড় ঘরে সবাই একসাথে ঘুমাই। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মেয়েকে সাথে নিয়ে ঘুমানোর পর হঠাৎ রাত ১২টার দিকে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখি দরজা খোলা, বাইরে বের হয়ে দেখি ছোট ঘরের দরজাও খোলা। সেই ঘরে গিয়ে দেখি বিছানার উপর আমার মেয়ের হাত পা বাধা অবস্থায় জবাই করা দেহ পড়ে আছে।

শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাত সাড়ে বারোটায় নিহতের মামার মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে থানা পুলিশকে খবর দেই। ধারনা করছি রাত সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে এই হত্যাকান্ডটি হয়েছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষনের পর তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা করছি। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দেয়ার পর মামলা রেকর্ড হবে। আমরা আসামীকে শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে কিশোরীকে ধর্ষনের পর গলাকেটে হত্যা

আপডেট সময় ০৩:২০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লার মুরাদনগরে কিশোরীকে ধর্ষনের পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় কিশোরীর হাত পা বাধা বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরের বিছানা থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরী রাবেয়া আক্তার(১৬) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।

জানা যায়, নিহত কিশোরীর স্থানীয় রবি মিয়ার বাড়ীতে কাজ করতে আসা এক নির্মাণ শ্রমিকের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। ঘটনার রাতেও ভিকটিমের মোবাইল ফোন থেকে তার সাথে ইমুতে চ্যাটিং করা হয়েছে। তার প্রেমিকই ধর্ষনের পর এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নিহতের মা আমেনা বেগম বলেন, আমরা বড় ঘরে সবাই একসাথে ঘুমাই। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মেয়েকে সাথে নিয়ে ঘুমানোর পর হঠাৎ রাত ১২টার দিকে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখি দরজা খোলা, বাইরে বের হয়ে দেখি ছোট ঘরের দরজাও খোলা। সেই ঘরে গিয়ে দেখি বিছানার উপর আমার মেয়ের হাত পা বাধা অবস্থায় জবাই করা দেহ পড়ে আছে।

শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাত সাড়ে বারোটায় নিহতের মামার মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে থানা পুলিশকে খবর দেই। ধারনা করছি রাত সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে এই হত্যাকান্ডটি হয়েছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষনের পর তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা করছি। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দেয়ার পর মামলা রেকর্ড হবে। আমরা আসামীকে শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছি।