
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কুমিল্লার মুরাদনগরে জমি থেকে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কুড়াখাল গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে কামরুল হাসান (৬২) তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজল (৩১), একই গ্রামের আলম, সিয়াম, বশির ও ইমরান এবং দিঘীরপাড় গ্রামের ওয়াহেদ মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি (৩৫), কাজী ইসমাইলের ছেলে হৃদয় কাজী (২৩), কাজী আহম্মদ এর ছেলে জুয়েল কাজী (২৩), মুনাফ মুন্সির ছেলে বশির মুন্সি (২৮)।
জানা যায়, কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলের জমিতে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী দিঘীরপাড় গ্রামের সজীব মুন্সি তার জমিনের ঘাস ছাগল দিয়ে খাওয়ানো এবং কেটে নেওয়ার অভিযোগ এনে কামরুল হাসানকে মারধর করে। এ সময় কামরুল হাসানকে বাঁচাতে তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সজীব মুন্সি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিঘীরপাড় গ্রাম থেকে লোকজন ডেকে আনে। পরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। এতে গুরুতর আহত হয় কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান তার ছেলে হৃদয় সরকার কজল, আলম ও সিয়াম।
মারধরের শিকার কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার বিকেলে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে বিলের ফাঁকা জমিতে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এ সময় সজীব মুন্সী তাকে মিথ্যা ঘাস চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে। সজীব এতেও শান্ত না হয়ে তার গ্রামের লোকজনকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে পুনরায় কামরুল হাসান তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজল সহ তাকে উদ্ধার করতে আসা তার গ্রামের অন্য চারজনকে বেধড়ক মারধর করে।
অভিযুক্ত সজীব মুন্সী বলেন, আমি বিলে একটি ঘাস খেত করেছি। প্রায় প্রতিদিনই আমার অজান্তে ওই ঘাস ক্ষেত থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যাওয়া হতো। শুক্রবার বিকেলে আমি ঘাস খেত দেখতে গিয়ে দেখি কামরুল হাসান প্রায় ১০ থেকে ১২ টি ছাগল দিয়ে আমার জমিনে ঘাস খাওয়াচ্ছে। আমি তাকে বাধা দিলে, সে তার বাড়ি থেকে লোকজন ডেকে এনে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। পরে আমি নিজেকে বাঁচাতে আমার বাড়ির লোকজন ডেকে এনে তাদেরকে প্রতিহত করেছি। এ ঘটনা আমাদের পক্ষের চারজন আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, ছাগলের ঘাস কাটা নিয়ে মারামারির ঘটনায় একপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।