ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম

মুরাদনগরে জাল দলিল করে জায়গা দখলের চেষ্টা

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে ব্যবসায়ী আমির হোসেনের প্রতিবেশি কতৃক জাল দলিল সৃজন করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। জাল দলিলের জোরে আদালতে মামলা দায়েরও করেছিলেন প্রতিবেশি আলী আশ্রাফ। তার করা মামলায় তার দলিলটিকেই ভূয়া বা জাল দলিল বলে প্রমাণ করেছেন কুমিল্লা জেলার রেকর্ডরুমের মোহরার।

রেকর্ড রুমের বালামের তথ্যে উঠে এসছে প্রকৃত মালিকের নাম। জাল দলিলের বিষয়টি জানাজানি হলে এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

জাল দলিল তৈরী করে অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে।
ভূয়া দলিল দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টাকারী আলী আশ্রাফ বাখরনগর গ্রামের আবদুল মজিদ ছেলে। জায়গার প্রকৃত মালিক ব্যবসায়ী আমির হোসেন একই গ্রামের সুলতান আহাম্মদের ছেলে।

ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর মৌজায় কয়েকটি খতিয়ান ও দাগে- ৪৫৫, ৩৪৯৫ বিআরএস দাগের আমার পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৮০শতক ভূমি এবং বাবার বিক্রিকরা সম্পত্তিসহ মোট সাড়ে পাঁচ একর জায়গার মালিকরা ভোগ দখল করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে এলাকার প্রতিবেশি আলী আশ্রাফ, তাজুল ইসলাম গং ৫৫৬৬/১৯৭৮ নাম্বারে একটি জাল দলিল তৈরী করে আমাদের সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে। জায়গা দখলের জন্য আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। সেসময় আমাদের রোপন করা শতাধিক গাছপালা কেটে ফেলে।

এরপর এই জাল দলিল দেখিয়ে কুমিল্লা আদালতে মামলা করে। মামলার খবর পেয়ে আমি আদালতে তাদের দাখিল করা দলিলটি চ্যালেঞ্জ করি। তখন বিজ্ঞ আদালত কুমিল্লা জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমে দলিলটি যাচাই করার জন্য আদেশ দেন। আদালতের আদেশে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমের সহকারী মোহরার মোস্তফা কামাল রেকর্ডরুমের বালাম যাচাই করে আলী আশ্রাফদের দাখিল করা দলিলের কোন সত্যতা পায়নি। তাদের দলিলটি জাল বলে তিনি আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। আগামী মাসে এই মামলাটির রায় প্রদান করবেন আদালত। জাল দলিল করে যারা আমার সম্পত্তি দখল নিয়ে চেয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

জাল দলিলের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলী আশ্রাফ বলেন, আমার দলিলটি জাল বলে আদালত কোন আদেশ দেয়নাই।

এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা দেওয়ানী আদালতের অ্যাডভোকেট প্রমোদ রঞ্জন বলেন কেউ যদি জাল দলিল করেছে এটা প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা ও অর্থদন্ড হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল

SBN

SBN

মুরাদনগরে জাল দলিল করে জায়গা দখলের চেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে ব্যবসায়ী আমির হোসেনের প্রতিবেশি কতৃক জাল দলিল সৃজন করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। জাল দলিলের জোরে আদালতে মামলা দায়েরও করেছিলেন প্রতিবেশি আলী আশ্রাফ। তার করা মামলায় তার দলিলটিকেই ভূয়া বা জাল দলিল বলে প্রমাণ করেছেন কুমিল্লা জেলার রেকর্ডরুমের মোহরার।

রেকর্ড রুমের বালামের তথ্যে উঠে এসছে প্রকৃত মালিকের নাম। জাল দলিলের বিষয়টি জানাজানি হলে এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

জাল দলিল তৈরী করে অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে।
ভূয়া দলিল দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টাকারী আলী আশ্রাফ বাখরনগর গ্রামের আবদুল মজিদ ছেলে। জায়গার প্রকৃত মালিক ব্যবসায়ী আমির হোসেন একই গ্রামের সুলতান আহাম্মদের ছেলে।

ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর মৌজায় কয়েকটি খতিয়ান ও দাগে- ৪৫৫, ৩৪৯৫ বিআরএস দাগের আমার পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৮০শতক ভূমি এবং বাবার বিক্রিকরা সম্পত্তিসহ মোট সাড়ে পাঁচ একর জায়গার মালিকরা ভোগ দখল করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে এলাকার প্রতিবেশি আলী আশ্রাফ, তাজুল ইসলাম গং ৫৫৬৬/১৯৭৮ নাম্বারে একটি জাল দলিল তৈরী করে আমাদের সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে। জায়গা দখলের জন্য আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। সেসময় আমাদের রোপন করা শতাধিক গাছপালা কেটে ফেলে।

এরপর এই জাল দলিল দেখিয়ে কুমিল্লা আদালতে মামলা করে। মামলার খবর পেয়ে আমি আদালতে তাদের দাখিল করা দলিলটি চ্যালেঞ্জ করি। তখন বিজ্ঞ আদালত কুমিল্লা জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমে দলিলটি যাচাই করার জন্য আদেশ দেন। আদালতের আদেশে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমের সহকারী মোহরার মোস্তফা কামাল রেকর্ডরুমের বালাম যাচাই করে আলী আশ্রাফদের দাখিল করা দলিলের কোন সত্যতা পায়নি। তাদের দলিলটি জাল বলে তিনি আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। আগামী মাসে এই মামলাটির রায় প্রদান করবেন আদালত। জাল দলিল করে যারা আমার সম্পত্তি দখল নিয়ে চেয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

জাল দলিলের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলী আশ্রাফ বলেন, আমার দলিলটি জাল বলে আদালত কোন আদেশ দেয়নাই।

এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা দেওয়ানী আদালতের অ্যাডভোকেট প্রমোদ রঞ্জন বলেন কেউ যদি জাল দলিল করেছে এটা প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা ও অর্থদন্ড হবে।