
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে ব্যবসায়ী আমির হোসেনের প্রতিবেশি কতৃক জাল দলিল সৃজন করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। জাল দলিলের জোরে আদালতে মামলা দায়েরও করেছিলেন প্রতিবেশি আলী আশ্রাফ। তার করা মামলায় তার দলিলটিকেই ভূয়া বা জাল দলিল বলে প্রমাণ করেছেন কুমিল্লা জেলার রেকর্ডরুমের মোহরার।
রেকর্ড রুমের বালামের তথ্যে উঠে এসছে প্রকৃত মালিকের নাম। জাল দলিলের বিষয়টি জানাজানি হলে এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
জাল দলিল তৈরী করে অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে।
ভূয়া দলিল দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টাকারী আলী আশ্রাফ বাখরনগর গ্রামের আবদুল মজিদ ছেলে। জায়গার প্রকৃত মালিক ব্যবসায়ী আমির হোসেন একই গ্রামের সুলতান আহাম্মদের ছেলে।
ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর মৌজায় কয়েকটি খতিয়ান ও দাগে- ৪৫৫, ৩৪৯৫ বিআরএস দাগের আমার পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৮০শতক ভূমি এবং বাবার বিক্রিকরা সম্পত্তিসহ মোট সাড়ে পাঁচ একর জায়গার মালিকরা ভোগ দখল করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে এলাকার প্রতিবেশি আলী আশ্রাফ, তাজুল ইসলাম গং ৫৫৬৬/১৯৭৮ নাম্বারে একটি জাল দলিল তৈরী করে আমাদের সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে। জায়গা দখলের জন্য আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। সেসময় আমাদের রোপন করা শতাধিক গাছপালা কেটে ফেলে।
এরপর এই জাল দলিল দেখিয়ে কুমিল্লা আদালতে মামলা করে। মামলার খবর পেয়ে আমি আদালতে তাদের দাখিল করা দলিলটি চ্যালেঞ্জ করি। তখন বিজ্ঞ আদালত কুমিল্লা জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমে দলিলটি যাচাই করার জন্য আদেশ দেন। আদালতের আদেশে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডরুমের সহকারী মোহরার মোস্তফা কামাল রেকর্ডরুমের বালাম যাচাই করে আলী আশ্রাফদের দাখিল করা দলিলের কোন সত্যতা পায়নি। তাদের দলিলটি জাল বলে তিনি আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। আগামী মাসে এই মামলাটির রায় প্রদান করবেন আদালত। জাল দলিল করে যারা আমার সম্পত্তি দখল নিয়ে চেয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
জাল দলিলের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলী আশ্রাফ বলেন, আমার দলিলটি জাল বলে আদালত কোন আদেশ দেয়নাই।
এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা দেওয়ানী আদালতের অ্যাডভোকেট প্রমোদ রঞ্জন বলেন কেউ যদি জাল দলিল করেছে এটা প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা ও অর্থদন্ড হবে।