ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জাহাঙ্গীর আলম, পিতৃহারা হলো তিন বছরের ইরফান Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

মুরাদনগরে ডাকাতির ঘটনায় মামলার পরিবর্তে জিডি নিলো পুলিশ

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

মধ্যরাতে সড়কে সশস্ত্র ডাকাত দলের কবলে পড়ে টাকা, মোবাইল ফোন ও মালামালসহ সর্বস্ব খোয়লেন ৪ যুবক। এই ঘটনায় পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে ডাকাতির অভিযোগ না নিয়ে মোবাইল ফোন হারানোর জিডি নিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে রামচন্দ্রপুর-বিষ্ণপুর সড়কের ব্রাহ্মণচাপিতলা এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার ব্যক্তিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের আবুল হাসান মিয়ার ছেলে মাইনউদ্দিন, মৃত সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সুমন, মৃত ওহাব আলীর ছেলে অলি মিয়া ও তাজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আরিফ।

ভিকটিম মাইন উদ্দিন জানান, শনিবার ঢাকা থেকে ফিরেছি, ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমরা ৪জন সল্পা থেকে সিএনজি যোগে দিঘীরপাড় ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর-বিষ্ণপুর সড়কের ব্রাহ্মণচাপিতলা অতিক্রম করার সময় অন্ধকারাছন্ন জায়গায় কয়েকজন লোক গাড়ীতে টর্চ লাইট দিয়ে থামতে ইশারা করে। আমরা পুলিশ মনে করে গাড়ির কিছুটা গতিরোধ করি। তারপর দেখি সড়কে গাছ ফেলে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় মুখবাধা পিস্তল, রামদা ও ছুরি হাতে ৭/৮জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল আমাদের জিম্মি করে সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ সকল মালামাল নিয়ে যায়। কোন আওয়াজ করলে আমাদের গুলি করবে বলে প্রাণনাশের ভয় দেখায়। ডাকাত সদস্যরা চলে যাওয়ার পর আমরা সড়কের গাছটা সড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে এসে মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে ৯৯৯ এ কল দেই। কিছুক্ষন পর বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই নাজির হোসাইন সহ পুলিশ এসে সড়কে গাছ দেখতে পেলেও ডাকাত সদস্যদের পায়নি। পরদিন থানায় এসে মোবাইল হারানোর বিষয়ে জিডি করতে বলে পুলিশ চলে যায়। তাদের কথামত রবিবার সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানায় আমাদের মোবাইল ফোন হারানো সংক্রান্ত জিডি করি।

স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, গত ছয়মাসে মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই নাজির হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কে গাছের গুড়ি দেখতে পেয়েছি। ডাকাতির ঘটনায় জিডির বিষয়ে তিনি বলেন আমি অভিযোগ করতে বলেছি জিডি করতে বলিনি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বাইরে আছি, থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে

SBN

SBN

মুরাদনগরে ডাকাতির ঘটনায় মামলার পরিবর্তে জিডি নিলো পুলিশ

আপডেট সময় ০৮:২৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

মধ্যরাতে সড়কে সশস্ত্র ডাকাত দলের কবলে পড়ে টাকা, মোবাইল ফোন ও মালামালসহ সর্বস্ব খোয়লেন ৪ যুবক। এই ঘটনায় পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে ডাকাতির অভিযোগ না নিয়ে মোবাইল ফোন হারানোর জিডি নিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে রামচন্দ্রপুর-বিষ্ণপুর সড়কের ব্রাহ্মণচাপিতলা এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার ব্যক্তিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের আবুল হাসান মিয়ার ছেলে মাইনউদ্দিন, মৃত সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সুমন, মৃত ওহাব আলীর ছেলে অলি মিয়া ও তাজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আরিফ।

ভিকটিম মাইন উদ্দিন জানান, শনিবার ঢাকা থেকে ফিরেছি, ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমরা ৪জন সল্পা থেকে সিএনজি যোগে দিঘীরপাড় ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর-বিষ্ণপুর সড়কের ব্রাহ্মণচাপিতলা অতিক্রম করার সময় অন্ধকারাছন্ন জায়গায় কয়েকজন লোক গাড়ীতে টর্চ লাইট দিয়ে থামতে ইশারা করে। আমরা পুলিশ মনে করে গাড়ির কিছুটা গতিরোধ করি। তারপর দেখি সড়কে গাছ ফেলে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় মুখবাধা পিস্তল, রামদা ও ছুরি হাতে ৭/৮জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল আমাদের জিম্মি করে সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ সকল মালামাল নিয়ে যায়। কোন আওয়াজ করলে আমাদের গুলি করবে বলে প্রাণনাশের ভয় দেখায়। ডাকাত সদস্যরা চলে যাওয়ার পর আমরা সড়কের গাছটা সড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে এসে মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে ৯৯৯ এ কল দেই। কিছুক্ষন পর বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই নাজির হোসাইন সহ পুলিশ এসে সড়কে গাছ দেখতে পেলেও ডাকাত সদস্যদের পায়নি। পরদিন থানায় এসে মোবাইল হারানোর বিষয়ে জিডি করতে বলে পুলিশ চলে যায়। তাদের কথামত রবিবার সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানায় আমাদের মোবাইল ফোন হারানো সংক্রান্ত জিডি করি।

স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, গত ছয়মাসে মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই নাজির হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কে গাছের গুড়ি দেখতে পেয়েছি। ডাকাতির ঘটনায় জিডির বিষয়ে তিনি বলেন আমি অভিযোগ করতে বলেছি জিডি করতে বলিনি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বাইরে আছি, থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো।