
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী ইদ্রিসকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন থেকে দূরপাল্লাহসহ আন্তঃজেলার সকল রুটের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
রবিবার (১৩ই এপ্রিল) ৬টা থেকে এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লার জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখা। পরে বিকেলে শ্রমিকরা বাস স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
হঠাৎ করে বাস বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সকালের রাস্তায় বের হয়ে গন্তব্যের বাস না পেয়ে অটোরিকশা-ভ্যানে যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁদের।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন এলাকা থেকে হাজী ইদ্রিসকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেলা ডিবি ও মুরাদনগর থানা পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি তাৎখনিক পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে শ্রমিকরা কোম্পানীগঞ্জ থেকে কুমিল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পরিবহন শ্রমিক ও নেতারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর-নবীনগর সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সমাবেশ করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক দলের সদস্য জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন, শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সফিকুর রহমান, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য ওয়াসিম মিয়া।
এসময় বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ বাজারের যানযট নিরসনে বাস-মালিক সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেয়। যার খরচ বাস মালিক সমিতি বহন করে থাকেন। দায়িত্বে থাকা লাইনমেন আবুল কালামকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশে দেয় কিছু সম্মনয়ক। সেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিক শ্রমিকদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ইদ্রিসসহ শ্রমিকদের গ্রেফতার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে শ্রমিকরা সকল প্রকার বাস বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছে। যদি অনতিবিলম্বে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃত সকলকে মুক্তি দেওয়া না হয় আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্যঃ গত ২৪শে মার্চ মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে গাড়ীর সিরিয়াল নিয়ে কেরানী ও শ্রমিকদের সাথে সমন্বয়কদের একাংশের সাথে হাতাহাতি হয়।
পরে থানায় উভয়পক্ষের মাঝে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে পরিবহন শ্রমিক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সমন্বয়করা বাদী হয়ে প্রায় ২শতাধিক আসামীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে। দুটি মামলায় বিএনপি ও পরিবহন শ্রমিকদের ৭জনকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ৭ই এপ্রিল আটক বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেনকে ১দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।