ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মহেশখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড Logo কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ Logo শেরপুর–ময়মনসিংহ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানী মালামাল সহ কাভার্ডভ্যান ও ইজিবাইক আটক Logo কটিয়াদীর বনগ্রাম বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা Logo সরাইলে এনসিপির উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিয়ে শিক্ষকের দুঃখপ্রকাশ Logo ‎বরুড়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলাহাট রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল অফিস দুর্নীতির আখড়া Logo বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার ১১ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা Logo টেকনাফে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ১ মাদক পাচারকারী আটক Logo শেরপুরে ১ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক কয়েদী গ্রেফতার

মেধাবী কেয়ামনি’র উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সংশয়

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলোর মতো এক অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম কেয়ামনি। আর্থিক অভাব-অনটনও মেধাবী কেয়ামনিকে দমাতে পারেনি। দিনমজুর ভূমিহীন কৃষক বাবার উপার্জনের টাকায় সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরালেও লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন নিয়মিত। সফলতাও পেয়েছেন। শিক্ষাজীবনের সকল শাখায় রয়েছে জিপিএ-৫। বর্তমানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়ামনি। পিতা সাধারণ দিনমজুর কৃষক মোঃ নজরুল ইসলাম খোকন, মাতা গৃহিণী তাসলিমা বেগম। দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বেশ মনযোগী। তার প্রমান পাওয়া যায় তার পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে। আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন রাওঘা গ্রামের ৪৪ নং দক্ষিন রাওঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে পিইসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ- ৫ পান, ২০১৬ সালে দক্ষিন রাওঘা নূর আল-আমীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি তে জিপিএ-৫, একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখা থেকে জিপিএ- ৫ এবং আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে থেকে এইচএসসি-২০২১ সালে জিপিএ- ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।

তার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন বিসিএস প্রশাসনিক ক্যাডার হওয়া। এতদিন দারিদ্রতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কিন্তু এখন বেশ ভোগাচ্ছে। বর্তমানে কেয়ামনি বরিশাল বিএম কলেজে ইংরেজি বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের অধ্যায়ন করে আসলেও নানাবিত অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তার উচ্চশিক্ষা প্রায় বন্ধের মুখে। মূলত পারিবারিক অস্বচ্ছল কারণেই নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না মেধাবী এই শিক্ষার্থী।

তার গৃহিণী মা বলেন, ছোট থেকেই লেখাপড়ার প্রতি মেয়ের প্রবল ইচ্ছা ও ঝোঁক বেশি থাকায় পিছপা হইনি। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মেয়ের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে। আমি এবং ওর বাবা অনেক কষ্ট-ক্লেশ করে এবং স্কুল স্যারদের সাহায্য সহযোগিতা করায় আমার মেয়েটাকে এতদূর পযর্ন্ত নিয়ে আসতে পেরেছি। এতদিন নিজ এলাকায় লেখাপড়ার সুযোগ থাকলেও উচ্চ শিক্ষায় সেই সুযোগ আর নেই। মেয়ে এখন বরিশাল বিএম কলেজে পড়ে। বরিশাল এর মত এত দূর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করা আমাদের মত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে আর সম্ভব নয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহেশখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড

SBN

SBN

মেধাবী কেয়ামনি’র উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সংশয়

আপডেট সময় ০২:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলোর মতো এক অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম কেয়ামনি। আর্থিক অভাব-অনটনও মেধাবী কেয়ামনিকে দমাতে পারেনি। দিনমজুর ভূমিহীন কৃষক বাবার উপার্জনের টাকায় সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরালেও লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন নিয়মিত। সফলতাও পেয়েছেন। শিক্ষাজীবনের সকল শাখায় রয়েছে জিপিএ-৫। বর্তমানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়ামনি। পিতা সাধারণ দিনমজুর কৃষক মোঃ নজরুল ইসলাম খোকন, মাতা গৃহিণী তাসলিমা বেগম। দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বেশ মনযোগী। তার প্রমান পাওয়া যায় তার পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে। আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন রাওঘা গ্রামের ৪৪ নং দক্ষিন রাওঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে পিইসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ- ৫ পান, ২০১৬ সালে দক্ষিন রাওঘা নূর আল-আমীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি তে জিপিএ-৫, একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখা থেকে জিপিএ- ৫ এবং আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে থেকে এইচএসসি-২০২১ সালে জিপিএ- ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।

তার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন বিসিএস প্রশাসনিক ক্যাডার হওয়া। এতদিন দারিদ্রতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কিন্তু এখন বেশ ভোগাচ্ছে। বর্তমানে কেয়ামনি বরিশাল বিএম কলেজে ইংরেজি বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের অধ্যায়ন করে আসলেও নানাবিত অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তার উচ্চশিক্ষা প্রায় বন্ধের মুখে। মূলত পারিবারিক অস্বচ্ছল কারণেই নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না মেধাবী এই শিক্ষার্থী।

তার গৃহিণী মা বলেন, ছোট থেকেই লেখাপড়ার প্রতি মেয়ের প্রবল ইচ্ছা ও ঝোঁক বেশি থাকায় পিছপা হইনি। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মেয়ের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে। আমি এবং ওর বাবা অনেক কষ্ট-ক্লেশ করে এবং স্কুল স্যারদের সাহায্য সহযোগিতা করায় আমার মেয়েটাকে এতদূর পযর্ন্ত নিয়ে আসতে পেরেছি। এতদিন নিজ এলাকায় লেখাপড়ার সুযোগ থাকলেও উচ্চ শিক্ষায় সেই সুযোগ আর নেই। মেয়ে এখন বরিশাল বিএম কলেজে পড়ে। বরিশাল এর মত এত দূর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করা আমাদের মত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে আর সম্ভব নয়।