
অতনু চৌধুরী রাজু, বাগেরহাট
বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীর বেরি বাঁধ ভাঙ্গন, সরজমিন পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
বিগত সরকারের মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের নদীর পাশে অবৈধ স্থাপনা তৈরি ও বেরি বাঁধের সাথে লঞ্চ এবং জালিবোট বেঁধে রাখা এবং নদীতে অপরিকল্পিত ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু করার কারনে বেরিবাঁধের ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ নদীতে সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু ব্যক্তি স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের সময় বিরাট বড় নেতা ছিলেন তারা তখন নদীতে সুশাসন করেছেন। এখন অন্য দলের ছত্র ছায়ায় নদীর সাথে ইট বালু রেখে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করছেন তারা।
একদিকে জোয়ারের পানির চাপ, অন্যদিকে নদীর পাশে ভারী মাল রাখায় পানির নিচ থেকে বালু সরে যাচ্ছে ফলে এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে।
এই সকল বিষয়ে তদারকি এবং বেরিবাঁধ ভাঙ্গনের মূল কারণ খুঁজতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন এবং মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আফিয়া শারমিন এবং মোংলা পোর্ট পৌরসভা চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং পৌর সচিব সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এই বেরিবাঁধ পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আবাসিক এলাকা থেকে পশুর নদীতে যে চরের সৃষ্টি হয়েছে। সেই জায়গা এবং কোস্ট গার্ডে পাশ দিয়ে নদীতে যে চরের সৃষ্টি হয়েছে সেই জায়গায় ড্রেজিং এর মাধ্যমে কেটে দিলে এই ভাঙ্গন প্রতিরোধ হবে বলে তাদের ধারনা। এই নদীতে জোয়ারের সময় পানি প্রবেশপথে বেরিবাঁধে ধাক্কা লাগে।
আবারও নদীতে পানি কমার সময় মোংলা পৌর শহর রক্ষা বাঁধেন উপর ধাক্কা লাগে। ফলে বেরি বাঁধ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এভাবে যদি প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে অচিরেই আমাদের মোংলা শহর নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে। ফলে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান ও আমাদের মোংলা পৌর শহর রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























