ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কটিয়াদীতে কচিকণ্ঠ শিশু একাডেমি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত Logo স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিরোধ সত্বেও অবৈধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে Logo পৃথিবীর এক পঞ্চামাংশ মানুষ গালাকে ভালোবাসে উদযাপন করেন:শেন হাইসিয়ং Logo সম্পর্ক নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে সরকার : উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন Logo সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন Logo আদিবাসী স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র Logo ইডটকো বাংলাদেশের অত্যাধুনিক ফাইভ-জি রেডি টাওয়ার অপারেশন সেন্টার চালু: উদ্বোধন করলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার Logo জলবায়ু তহবিল সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিডিপি চালু করা হয়েছে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo মনিরুজ্জামান খান জামালপুর আর এম বিদ্যাপীঠের সভাপতি নির্বাচিত Logo অগ্নিদগ্ধ সেই শিশু সামিয়া আর নেই!!

মৌলিক গানে কন্ঠ দিচ্ছেন প্রবাসী শিল্পী নওশীন মনজুর-ই-খুদা

  • বিনোদন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

সংগীত শিল্পী নওশীন মনযুর- ই-খুদার জন্ম বাংলাদেশের সংস্কৃতিমনা সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। শিল্পীর বাবা বিজ্ঞানী ড. মনযুর-ই-খুদা, মা ৪০ দশকের সুখ্যাত সংগীত শিল্পী একুশে পদক প্রাপ্ত খালেদা মনযুর-ই-খুদা। পারিবারিক উৎসাহে নওশীনের সংগীতের প্রতি আগ্রহ জন্মে কৈশোরে । ওস্তাদ ফজলুল হক এবং ওস্তাদ ইয়াসীন খানের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত তালিম নেন। নওশীন মনযুর-ই-খুদা ১৯৮৪ সালে কানাডার মন্ট্রিওল চলে যান উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য। সেখান থেকে বোস্টনে বর্তমানে তিনি ফ্লোরিডার টেম্পাতে বসবাস করে বাংলা সংগীত সমৃদ্ধ করছেন।

শিল্পী নওশীন মনযুর- ই-খুদা বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতীয় উৎসবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১লা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ও ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দেশের প্রতি অপরিসীম মায়া, প্রেম ও ভালবাসা নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের গান পরিবেশন করছেন দেশে ও প্রবাসে। বাংলা সঙ্গীতের স্থান দিয়েছেন সর্বোচ্চ শিখরে।

নওশীন মনজুর-ই-খুদা প্রায় ৪৩ টি মৌলিক গান করেছেন। এর মধ্যে বারটি মৌলিক গান ২০০০ সনে ‘লক্ষ্মী আমার মা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এরপর ২০২৪ সালের মধ্যে গীতিকার ও সুরকার তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় ৩১ টি মৌলিক গানে কন্ঠ দিয়েছেন। যা প্রবাসীর শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম।

বাংলাদেশের বাইরে বিশেষ করে আমেরিকা ও কানাডাতে গত তিন দশক ধরে সমানতালে গানে কণ্ঠ দিয়ে চলেছেন এই শিল্পী। প্রবাসী শিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী কুমার শানু ও রূপঙ্করের সাথে ডুয়েট গান করেছেন।

২০২২ সালে ‘কিছুই চায় না আমি’- শিরোনামে রূপঙ্করের সঙ্গে গান গেয়েছেন নওশীন। ২০২৩ সালে ‘আমারই চোখে তুমি’- শিরোনামে কুমার শানুর সঙ্গে গানে কন্ঠ দিয়েছেন।

প্রেমের পাশাপাশি প্রকৃতি, ভাষা আন্দোলন, বিজয় দিবস নিয়ে তাঁর দেশাত্মবোধক গান রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে লেখা ‘পলাশ রাঙা দিনটি ছিলো’ গানটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

‘পাখির ডানা মেলে’ গানটি একই সাথে তিনি ইংরেজি ও বাংলায় কণ্ঠ দিয়েছেন। অনন্যা প্রতিভাবান এই শিল্পীর হৃদয়ে সর্বত্র দেশপ্রেম দেখা যায়।

নওশীন মনজুর-ই-খুদা জন্ম ঢাকায় হলেও তিন মাস বয়স থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর বাবা- মায়ের সাথে লন্ডনে বেড়ে ওঠেন।পরবর্তীতে দেশে ফিরে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন আজিমপুর গার্লস স্কুলে। এরপর পশ্চিম জার্মানির ডামসটার্ড শহরের শিলাসুলে স্কুলে শুরু হয় মাধ্যমিক শিক্ষা। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেশে এসে কিশোলয় স্কুল থেকে মাধ্যমিক সমাপ্ত করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি চলতে থাকে সঙ্গীত জীবন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে শুরু হয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া। উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেওয়ার পাশাপাশি রবীন্দ্র সংগীত চর্চা। ইচ্ছে ছিল শান্তিনিকেতনে গানের অনুশীলনের সাথে সাথে উচ্চশিক্ষা নিতে কিন্তুু শিল্পীর বাবা রাজি না হওয়ার কারণে যাওয়া হয়নি, মনস্থির করে মাকে নিয়ে পাড়ি দিলেন কানাডাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য। কানাডাতে গ্রাজুয়েট শেষ করার পাশাপাশি সংগীতের ওপর আমেরিকার বোস্টন শহরের ইমানুয়েল লিবারেল আর্ট কলেজ থেকে গ্রহণ করেন উচ্চতর ডিগ্রি।


পারিবারে সংগীত শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। চেষ্টা করেন রবীন্দ্র সংগীতে নিজেকে গড়ে নিতে। তাঁরমধ্যে আব্দুল আহাদ ও কাদেরী কিবরিয়া কাছে দীর্ঘ বছরের সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ছোটদের সংগীত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অসংখ্য সংগীতে কন্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কটিয়াদীতে কচিকণ্ঠ শিশু একাডেমি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

মৌলিক গানে কন্ঠ দিচ্ছেন প্রবাসী শিল্পী নওশীন মনজুর-ই-খুদা

আপডেট সময় ০৮:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

সংগীত শিল্পী নওশীন মনযুর- ই-খুদার জন্ম বাংলাদেশের সংস্কৃতিমনা সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। শিল্পীর বাবা বিজ্ঞানী ড. মনযুর-ই-খুদা, মা ৪০ দশকের সুখ্যাত সংগীত শিল্পী একুশে পদক প্রাপ্ত খালেদা মনযুর-ই-খুদা। পারিবারিক উৎসাহে নওশীনের সংগীতের প্রতি আগ্রহ জন্মে কৈশোরে । ওস্তাদ ফজলুল হক এবং ওস্তাদ ইয়াসীন খানের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত তালিম নেন। নওশীন মনযুর-ই-খুদা ১৯৮৪ সালে কানাডার মন্ট্রিওল চলে যান উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য। সেখান থেকে বোস্টনে বর্তমানে তিনি ফ্লোরিডার টেম্পাতে বসবাস করে বাংলা সংগীত সমৃদ্ধ করছেন।

শিল্পী নওশীন মনযুর- ই-খুদা বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতীয় উৎসবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১লা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ও ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দেশের প্রতি অপরিসীম মায়া, প্রেম ও ভালবাসা নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের গান পরিবেশন করছেন দেশে ও প্রবাসে। বাংলা সঙ্গীতের স্থান দিয়েছেন সর্বোচ্চ শিখরে।

নওশীন মনজুর-ই-খুদা প্রায় ৪৩ টি মৌলিক গান করেছেন। এর মধ্যে বারটি মৌলিক গান ২০০০ সনে ‘লক্ষ্মী আমার মা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এরপর ২০২৪ সালের মধ্যে গীতিকার ও সুরকার তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় ৩১ টি মৌলিক গানে কন্ঠ দিয়েছেন। যা প্রবাসীর শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম।

বাংলাদেশের বাইরে বিশেষ করে আমেরিকা ও কানাডাতে গত তিন দশক ধরে সমানতালে গানে কণ্ঠ দিয়ে চলেছেন এই শিল্পী। প্রবাসী শিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী কুমার শানু ও রূপঙ্করের সাথে ডুয়েট গান করেছেন।

২০২২ সালে ‘কিছুই চায় না আমি’- শিরোনামে রূপঙ্করের সঙ্গে গান গেয়েছেন নওশীন। ২০২৩ সালে ‘আমারই চোখে তুমি’- শিরোনামে কুমার শানুর সঙ্গে গানে কন্ঠ দিয়েছেন।

প্রেমের পাশাপাশি প্রকৃতি, ভাষা আন্দোলন, বিজয় দিবস নিয়ে তাঁর দেশাত্মবোধক গান রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে লেখা ‘পলাশ রাঙা দিনটি ছিলো’ গানটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

‘পাখির ডানা মেলে’ গানটি একই সাথে তিনি ইংরেজি ও বাংলায় কণ্ঠ দিয়েছেন। অনন্যা প্রতিভাবান এই শিল্পীর হৃদয়ে সর্বত্র দেশপ্রেম দেখা যায়।

নওশীন মনজুর-ই-খুদা জন্ম ঢাকায় হলেও তিন মাস বয়স থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর বাবা- মায়ের সাথে লন্ডনে বেড়ে ওঠেন।পরবর্তীতে দেশে ফিরে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন আজিমপুর গার্লস স্কুলে। এরপর পশ্চিম জার্মানির ডামসটার্ড শহরের শিলাসুলে স্কুলে শুরু হয় মাধ্যমিক শিক্ষা। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেশে এসে কিশোলয় স্কুল থেকে মাধ্যমিক সমাপ্ত করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি চলতে থাকে সঙ্গীত জীবন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে শুরু হয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া। উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেওয়ার পাশাপাশি রবীন্দ্র সংগীত চর্চা। ইচ্ছে ছিল শান্তিনিকেতনে গানের অনুশীলনের সাথে সাথে উচ্চশিক্ষা নিতে কিন্তুু শিল্পীর বাবা রাজি না হওয়ার কারণে যাওয়া হয়নি, মনস্থির করে মাকে নিয়ে পাড়ি দিলেন কানাডাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য। কানাডাতে গ্রাজুয়েট শেষ করার পাশাপাশি সংগীতের ওপর আমেরিকার বোস্টন শহরের ইমানুয়েল লিবারেল আর্ট কলেজ থেকে গ্রহণ করেন উচ্চতর ডিগ্রি।


পারিবারে সংগীত শিক্ষার পাশাপাশি তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। চেষ্টা করেন রবীন্দ্র সংগীতে নিজেকে গড়ে নিতে। তাঁরমধ্যে আব্দুল আহাদ ও কাদেরী কিবরিয়া কাছে দীর্ঘ বছরের সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ছোটদের সংগীত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অসংখ্য সংগীতে কন্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।