ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লাকসামে ১৯ বছরের তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেফতার-৫ Logo জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করবে Logo রূপসায় ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ উইমেন্স ফ্যাশন ডিজাইনার সোসাইটির পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ Logo বরুড়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo উখিয়া যুবদলের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬ Logo বুড়িচংয় অবৈধ অনু প্রবেশের সময় ভারতীয় দুই নাগরিক আটক Logo লালমনিরহাটে কুপ্রস্তাব বিচার চেয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিযোগ Logo এবছর ২৬ মার্চেও কুচকাওয়াজ হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র সচিব  Logo এবার ঈদে কেনাবেচার ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘ইন্টারন্যাশনাল নাইট মার্কেট ইন ঢাকা’

যশোরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড

  • যশোর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

যশোরে মাদক মামলায় পুলিশের সাবেক এসআই (চাকরিচ্যুত) হাসানুজ্জামানকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

সাবেক এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরা কলারোয়ার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল সরদারের ছেলে। তিনি ওই সময় যশোরের চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে এপিপি আফরোজা সুলতানা রনি।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ জুন কেশবপুরের ভাল্লুকঘর ক্যাম্পের এসআই দিবাকর মালাকার গোপন সংবাদের জানতে পারেন তিনজন মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা নিয়ে চাঁদড়া গ্রামে যাচ্ছে। একদল ফোর্স নিয়ে তিনি দুপুর সোয়া ১টার দিকে চাঁদড়া পালপাড়া মোড়ের জনৈক নুর মোহাম্মদের দোকানের সামনে আসলে একটি মোটরসাইকেল দুইজন ও অপর মোটরসাইকেলে বসা একজন বলেন পার্টি এরা নাকি। এসময় এসআই দিবাকর মালাকার হ্যা সুচক জবাব দেন। তখন আসামি হাসানুজ্জামান অপর মোটরসাইকেলে ঝুলানো ব্যাগে এককেজি ও তার কাধে ঝোলানো ব্যাগে দুইকেজি গাঁজা আছে বলে জানায়। এসআই দিবাকর মালাকার নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিলে একজন পালিয়ে যায়। আর আটক করা হয় নাজমুল ও হাসানুজ্জামানকে। হাসানুজ্জামান নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখান। এ সময় আরও পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপ্িস্থত হয়। এর মধ্যে হাসানের ব্যবহৃত সরকারি পিস্তল দেয়ার কথা বলে কাঁধের ব্যাগ মোটরসাইকেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর হাসানুজ্জামানের রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে তার নিজের ইউনিফর্মে মোড়ানো ২ কেজি গাঁজা ও অপর মোটরসাইকেলে ঝোলানো ব্যাগ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই দিবাকর মালাকার বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক নাজুমলসহ তিনজনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এসআই হাসানুজ্জামান, নাজমুল ইসলাম ও শহিদকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ ওহিদুজ্জামান।

দীর্ঘ সাক্ষী শেষে আসামিদের মধ্যে সাবেক এসআই হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক অপর দুইজনকে খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এসআই হাসানুজ্জামান কারাগারে আটক আছে

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লাকসামে ১৯ বছরের তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেফতার-৫

SBN

SBN

যশোরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড

আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

যশোরে মাদক মামলায় পুলিশের সাবেক এসআই (চাকরিচ্যুত) হাসানুজ্জামানকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

সাবেক এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরা কলারোয়ার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল সরদারের ছেলে। তিনি ওই সময় যশোরের চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে এপিপি আফরোজা সুলতানা রনি।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ জুন কেশবপুরের ভাল্লুকঘর ক্যাম্পের এসআই দিবাকর মালাকার গোপন সংবাদের জানতে পারেন তিনজন মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা নিয়ে চাঁদড়া গ্রামে যাচ্ছে। একদল ফোর্স নিয়ে তিনি দুপুর সোয়া ১টার দিকে চাঁদড়া পালপাড়া মোড়ের জনৈক নুর মোহাম্মদের দোকানের সামনে আসলে একটি মোটরসাইকেল দুইজন ও অপর মোটরসাইকেলে বসা একজন বলেন পার্টি এরা নাকি। এসময় এসআই দিবাকর মালাকার হ্যা সুচক জবাব দেন। তখন আসামি হাসানুজ্জামান অপর মোটরসাইকেলে ঝুলানো ব্যাগে এককেজি ও তার কাধে ঝোলানো ব্যাগে দুইকেজি গাঁজা আছে বলে জানায়। এসআই দিবাকর মালাকার নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিলে একজন পালিয়ে যায়। আর আটক করা হয় নাজমুল ও হাসানুজ্জামানকে। হাসানুজ্জামান নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখান। এ সময় আরও পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপ্িস্থত হয়। এর মধ্যে হাসানের ব্যবহৃত সরকারি পিস্তল দেয়ার কথা বলে কাঁধের ব্যাগ মোটরসাইকেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর হাসানুজ্জামানের রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে তার নিজের ইউনিফর্মে মোড়ানো ২ কেজি গাঁজা ও অপর মোটরসাইকেলে ঝোলানো ব্যাগ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই দিবাকর মালাকার বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক নাজুমলসহ তিনজনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এসআই হাসানুজ্জামান, নাজমুল ইসলাম ও শহিদকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ ওহিদুজ্জামান।

দীর্ঘ সাক্ষী শেষে আসামিদের মধ্যে সাবেক এসআই হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক অপর দুইজনকে খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এসআই হাসানুজ্জামান কারাগারে আটক আছে