
ট্রাম্প প্রশাসন যে দেশগুলো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি তাদের জন্য বাড়তি শুল্ক ৯০ দিন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু চীনের উপর শুল্ক ১২৫% পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়েন গত বৃহস্পতিবার বলেন, চীন কখনই তার জনগণের ন্যায্য অধিকার খর্ব হতে দেবে না, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিয়ম ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হতে দেবে না।
লিন চিয়েন বলেন, “মার্কিন পক্ষ একতরফা স্বার্থে শুল্ককে চরম চাপ সৃষ্টি ও স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা বিভিন্ন দেশের ন্যায্য অধিকার লঙ্ঘন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম ভঙ্গ, নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ক্ষতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। এটি স্পষ্টভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার শামিল।”
তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন উত্পীড়নের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া শুধু চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষার জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত স্বার্থ রক্ষার জন্যও জরুরি। ‘ন্যায়ের পক্ষে অনেকেই থাকে, অন্যায়ের পক্ষে কেউ থাকে না – মার্কিনের এই উল্টো পথে হাঁটা জনমতের বিরুদ্ধে এবং শেষ পর্যন্ত এটি ব্যর্থ হবে বলে উল্লেখ করেন লিন।,
মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘শুল্ক যুদ্ধ বা বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। চীন যুদ্ধ চায় না, তবে ভয়ও পায় না। আমরা কখনই চীনা জনগণের ন্যায্য অধিকার খর্ব হতে দেব না, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিয়ম ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হতে দেব না। মার্কিন পক্ষ যদি শুল্ক যুদ্ধ বা বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায়, চীন অবশ্যই শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ স্বার্থকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে সমগ্র বিশ্বের ন্যায্য স্বার্থ বলি দিয়ে তাদের আধিপত্যবাদী স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়, যা নিশ্চিতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হবে।
সূত্র :স্বর্ণা-হাশিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।