
অক্টোবরের প্রথম দিনে, মার্কিন ফেডারেল সরকার আবার অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন বিশ্বের ৩৮টি দেশের ৭৬৭১জন লোকের ওপর জনমত জরিপ চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক খাতের ব্যর্থতাগুলোর ফলে প্রতিফলিত যুক্তরাষ্ট্রের পদ্ধতিগত সমস্যার প্রতি জরিপে অংশগ্রহণকারীরা গভীর হতাশা প্রকাশ করেন। তারা ব্যাপকভাবে মনে করেন, ‘মার্কিন গণতন্ত্র’ আরও দ্রুতগতিতে গণতন্ত্রের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আর তথাকথিত ‘আলোকবর্তিকা’ নয়।
এবার মার্কিন ফেডারেল সরকার সাত বছরের মধ্যে আবার অচলাবস্থার সম্মুখীন হলো। গতবারের শাটডাউনটি ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল টার্মে ঘটেছিল। জরিপে ৭৪.৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার অভ্যন্তরে বিদ্যমান অনৈক্যমূলক দ্বন্দ্ব এবং মৌলিক ত্রুটিগুলিকে উন্মোচিত করে। ৭৩.২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পদ্ধতিগত সংস্কারের প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রে দুই দলের তীব্র সংঘাত দেশটির রাজনৈতিক উন্নয়নকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে, যার ফলে জরিপে উত্তরদাতারা সাধারণত মার্কিন রাজনৈতিক সুশাসনের কার্যকারিতা এবং এর রাজনৈতিক উন্নয়নের স্তরের বিষয়ে নিম্ন মানের মূল্যায়ন করেছেন। মার্কিন সরকার জনগণের জীবন উন্নত করার ক্ষেত্রে, মাত্র ৩৪.১ শতাংশ ওশেনিয়া দেশের উত্তরদাতা এবং ৫৬.৫ শতাংশ ইউরোপীয় দেশের উত্তরদাতা মার্কিন সরকারের প্রশাসনিক সক্ষমতার প্রতি ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন।
এবারের জরিপে প্রধান প্রধান উন্নত দেশ এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উত্তরদাতাদের বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত।
সূত্র:আকাশ-তৌহিদ-ফেইফেই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।