ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জাহাঙ্গীর আলম, পিতৃহারা হলো তিন বছরের ইরফান Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে : চিন পিংয়ের শীর্ষক প্রবন্ধ

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৮:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

গত ৭ মে,বুধবার রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে জয়ের ৮০তম বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার প্রাক্কালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘রাশিয়ান নিউজপেপারে’ ‘ইতিহাসের ভিত্তিতে যৌথভাবে ভবিষ্যত উন্মোচন করা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি আশা করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ইতিহাসের সঠিক পক্ষে দাঁড়াবে।

 

প্রবন্ধে তিনি বলেন, চলতি বছর হল চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসন বিরোধী যুদ্ধ, সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধ তথা বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধ জয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। ৮০ বছর আগে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের ন্যায্য শক্তি যৌথভাবে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। ৮০ বছর পর একতরফাবাদ, আধিপত্য, অত্যাচার ও গুন্ডামি দারুণ ক্ষতিকর। মানবজাতি আবারও ঐক্য বা বিচ্ছিন্নতা, সংলাপ বা বৈরিতা, যৌথ কল্যাণ বা জিরো-সামের চৌরাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের উচিত, ইতিহাস মনে রাখা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধের মহান বিজয় থেকে বুদ্ধি ও শক্তি অর্জন করা, দৃঢ়ভাবে আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করা, যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করা।

আমাদের উচিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্বন্ধে সঠিক মনোভাব পোষণ করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঐতিহাসিক সত্য বিকৃত করা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়কে অস্বীকার করা এবং চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ঐতিহাসিক অর্জনকে কলঙ্কিত করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না! ইতিহাসকে উল্টে দেওয়ার কোনো প্রচেষ্টার সাথে, কেবল চীনা ও রাশিয়ান জনগণই নয়, বরং বিশ্বের কোনো দেশের মানুষ একমত হবে না!
আমাদের উচিত দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা। চীন ও রাশিয়া সবসময় পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন করে। রাশিয়া বহুবার ঘোষণা করেছে যে, দেশটি দৃঢ়ভাবে এক চীন নীতি মেনে চলে, তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাশিয়া যে কোনো ধরনের ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ তত্পরতার বিরোধিতা করে, দেশের ঐক্যের জন্য চীন সরকার ও জনগণের চেষ্টাকে সমর্থন করে। চীন এর ভূয়সী প্রশংসা করে।

আমাদের উচিত দৃঢ়ভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা রক্ষা করা। তিনি মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলা, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ, বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন, এর উদ্দেশ্য হল শান্তি, ঘাটতি, উন্নয়নের ঘাটতি, নিরাপত্তা ও শাসন ঘাটতির সমস্যা সমাধান করার পরামর্শ দেন।

বিশ্ব ন্যায্যতা চায়, আধিপত্য চায় না। ইতিহাস ও বাস্তবতা উভয় প্রমাণ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাইলে যৌথ আলোচনা ও নির্মাণের বিশ্ব পরিচালনার চেতনা মেনে চলতে হবে। প্রকৃত বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করতে হয়। তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণ ইতিহাসের সঠিক পক্ষে দাঁড়াবে।

সূত্র : শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে

SBN

SBN

যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে : চিন পিংয়ের শীর্ষক প্রবন্ধ

আপডেট সময় ০৮:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

গত ৭ মে,বুধবার রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে জয়ের ৮০তম বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার প্রাক্কালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘রাশিয়ান নিউজপেপারে’ ‘ইতিহাসের ভিত্তিতে যৌথভাবে ভবিষ্যত উন্মোচন করা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি আশা করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ইতিহাসের সঠিক পক্ষে দাঁড়াবে।

 

প্রবন্ধে তিনি বলেন, চলতি বছর হল চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসন বিরোধী যুদ্ধ, সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধ তথা বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধ জয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। ৮০ বছর আগে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের ন্যায্য শক্তি যৌথভাবে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। ৮০ বছর পর একতরফাবাদ, আধিপত্য, অত্যাচার ও গুন্ডামি দারুণ ক্ষতিকর। মানবজাতি আবারও ঐক্য বা বিচ্ছিন্নতা, সংলাপ বা বৈরিতা, যৌথ কল্যাণ বা জিরো-সামের চৌরাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের উচিত, ইতিহাস মনে রাখা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধের মহান বিজয় থেকে বুদ্ধি ও শক্তি অর্জন করা, দৃঢ়ভাবে আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করা, যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করা।

আমাদের উচিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্বন্ধে সঠিক মনোভাব পোষণ করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঐতিহাসিক সত্য বিকৃত করা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়কে অস্বীকার করা এবং চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ঐতিহাসিক অর্জনকে কলঙ্কিত করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না! ইতিহাসকে উল্টে দেওয়ার কোনো প্রচেষ্টার সাথে, কেবল চীনা ও রাশিয়ান জনগণই নয়, বরং বিশ্বের কোনো দেশের মানুষ একমত হবে না!
আমাদের উচিত দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা। চীন ও রাশিয়া সবসময় পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন করে। রাশিয়া বহুবার ঘোষণা করেছে যে, দেশটি দৃঢ়ভাবে এক চীন নীতি মেনে চলে, তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাশিয়া যে কোনো ধরনের ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ তত্পরতার বিরোধিতা করে, দেশের ঐক্যের জন্য চীন সরকার ও জনগণের চেষ্টাকে সমর্থন করে। চীন এর ভূয়সী প্রশংসা করে।

আমাদের উচিত দৃঢ়ভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা রক্ষা করা। তিনি মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলা, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ, বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন, এর উদ্দেশ্য হল শান্তি, ঘাটতি, উন্নয়নের ঘাটতি, নিরাপত্তা ও শাসন ঘাটতির সমস্যা সমাধান করার পরামর্শ দেন।

বিশ্ব ন্যায্যতা চায়, আধিপত্য চায় না। ইতিহাস ও বাস্তবতা উভয় প্রমাণ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাইলে যৌথ আলোচনা ও নির্মাণের বিশ্ব পরিচালনার চেতনা মেনে চলতে হবে। প্রকৃত বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করতে হয়। তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণ ইতিহাসের সঠিক পক্ষে দাঁড়াবে।

সূত্র : শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।