
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
আত্মশুদ্ধি ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। অথচ এ সময় দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আর দ্রব্যমূল্যের চাপে নাকাল হয়ে উঠে সাধারণ মানুষ।
অথচ ব্যতিক্রমী ভূমিকায় কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুরের দধি ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া। রীতিমত ব্যানারে ঘোষণার মাধ্যমে তার উৎপাদিত দইয়ের মূল্য কমিয়ে এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
রামচন্দ্রপুরে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের সামনে আল মামুন দধি দোকানের মালিক ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া সোনাকান্দা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে সুনামের সাথে খাটি দুধ থেকে তৈরী সুস্বাদু দই বিক্রি করে আসছেন তিনি।
রোজার আগে প্রতি কেজি দইয়ে দাম ছিলো ২০০টাকা, সেখানে রমজান উপলক্ষে ৩০টাকা কমিয়ে বিক্রি করছেন ১৭০টাকায়। ২কেজি দইয়ের মূল্য ৪০০টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়াও প্রতিকাপ দধি ৩৫টাকা থেকে কমিয়ে ৩০টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী ইউসুফ।
দইয়ের ক্রেতা সৌদি প্রবাসী সবুজ সরকার বলেন, আমি গতকাল দেশে এসেছি। আমরা ছাত্রজীবনে এখানে অনেক সময় কাটিয়েছি, উনার দইয়ের গুনগত মান ও স্বাধ অনেক ভালো। ফেইসবুকে ইউসুফ ভাইয়ের দধির উপর বিশেষ ছাড়ের একটি পোষ্ট দেখেছি। তাই আজই চলে এসেছি ভাইয়ের দোকানে।
মুরাদনগর সদরের নাঈম আহমেদ রাফি দই নিতে এসে বলেন, রমজান উপলক্ষে এই দোকানে দইয়ের উপর বিশেষ ছাড় থাকে এবং উনার দইয়ের টেষ্ট অনেক ভালো তাই দই নিতে মুরাদনগর থেকে এসেছি।
মাওলানা জাকির হোসাইন বলেন, যেখানে রমজান আসলে সারা দেশে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় সেখানে ইউসুফ একজন ব্যতিক্রম ব্যবসায়ী, উনি আল্লাহর সন্তুষ্টির আসায় প্রতি রমজানেই দইয়ের উপর বিশষ ছাড় দিয়ে থাকে।
ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া বলেন আমি লাভ চিন্তা করছি না, বর্তমানে সব দুধ ও চিনির দাম অনেক বেশি হলেও পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য আমি আমার উৎপাদিত দইয়ের দাম কমিয়ে বিক্রি করছি। আমি চাই সকলেই যেন এই রোজায় দই কিনে খেতে পারে।