ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে দধির দাম কমিয়ে আলোচনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউসুফ

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

আত্মশুদ্ধি ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানে দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী যখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াতে মরিয়া সেখানে ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করছেন মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুরের দধি ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া। ব্যানারে ঘোষনার মাধ্যমে তার উৎপাদিত দইয়ের মূল্য কমিয়ে এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের সামনে আল মামুন দধি দোকানের মালিক ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া সোনাকান্দা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে। দীর্ঘ ২৫বছর ধরে সুনামের সাথে খাটি দুধ থেকে তৈরী সুস্বাদু দই বিক্রি করে আসছেন তিনি। রোজার আগে প্রতি কেজি দইয়ে দাম ছিলো ১৮০টাকা, সেখানে রমজান উপলক্ষে ৩০টাকা কমিয়ে বিক্রি করছেন ১৫০টাকায়। ২কেজি দইয়ের মূল্য ৩৫০টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়াও প্রতিকাপ দধি ৩৫টাকা থেকে কমিয়ে ৩০টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী ইউসুফ।

দইয়ের ক্রেতা জয়নাল ও আবদুর রহিম বলেন রমজান মাসে সবাই দাম বাড়ায় অথচ ইউসুফ মিয়া একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়েও দইয়ের দাম কমিয়েছে। আমরা অনেক খুশি। বড় বড় ব্যবসায়ীরা এর থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।

ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া বলেন আমি লাভ চিন্তা করছি না, বর্তমানে সব দুধ ও চিনির দাম অনেক বেশি হলেও পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য আমি আমার উৎপাদিত দইয়ের দাম কমিয়েছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রমজানে দধির দাম কমিয়ে আলোচনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউসুফ

আপডেট সময় ০৪:১৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

আত্মশুদ্ধি ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানে দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী যখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াতে মরিয়া সেখানে ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করছেন মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুরের দধি ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া। ব্যানারে ঘোষনার মাধ্যমে তার উৎপাদিত দইয়ের মূল্য কমিয়ে এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের সামনে আল মামুন দধি দোকানের মালিক ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া সোনাকান্দা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে। দীর্ঘ ২৫বছর ধরে সুনামের সাথে খাটি দুধ থেকে তৈরী সুস্বাদু দই বিক্রি করে আসছেন তিনি। রোজার আগে প্রতি কেজি দইয়ে দাম ছিলো ১৮০টাকা, সেখানে রমজান উপলক্ষে ৩০টাকা কমিয়ে বিক্রি করছেন ১৫০টাকায়। ২কেজি দইয়ের মূল্য ৩৫০টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়াও প্রতিকাপ দধি ৩৫টাকা থেকে কমিয়ে ৩০টাকা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী ইউসুফ।

দইয়ের ক্রেতা জয়নাল ও আবদুর রহিম বলেন রমজান মাসে সবাই দাম বাড়ায় অথচ ইউসুফ মিয়া একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়েও দইয়ের দাম কমিয়েছে। আমরা অনেক খুশি। বড় বড় ব্যবসায়ীরা এর থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।

ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া বলেন আমি লাভ চিন্তা করছি না, বর্তমানে সব দুধ ও চিনির দাম অনেক বেশি হলেও পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য আমি আমার উৎপাদিত দইয়ের দাম কমিয়েছি।