ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় নার্স ও ধাত্রী দিবস পালিত Logo মুরাদনগরে মিথ্যা মামলা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল Logo কাপ্তাই হ্রদ দেশের সম্পদ, এটিকে রক্ষা করতে হবে — উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Logo শ্রীবরদীতে কৃষি প্রণোদনা বীজে বাম্পার ফলন Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চক্ষু পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন Logo ভৈরব ও কুলিয়ারচরে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু Logo হরিরামপুরে পাঁচশত পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩ Logo ভারত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাবে:ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo যুদ্ধবিরতি অর্জন জন্য চীনকে পাকিস্তানের ধন্যবাদ : ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo সুইজারল্যান্ডে চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মতৈক্য

রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ

মো. কাওসার, রাঙ্গামাটি

পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ কর্তৃক জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে “তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব” দাবির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে বিক্ষোভ মিছিল ও মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাঙামাটি পৌরসভার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল (১২ মে) সোমবার সকাল ১১.০০ টায় শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপায় এসে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে মহা-সমাবেশে মিলিত হয়।

মহাসমাবেশে পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মো: আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি’র রাঙামাটি সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইসমাঈল গাজী, পিসিসিপি লংগদু উপজেলা শাখার সভাপতি মো: সুমন।

পিসিসিপি’র মহা-সমাবেশে বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে, তা আর কোনও অবস্থাতেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। বিশেষত, আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর সঙ্গে (১০ মে)২৫ ইং শনিবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আলোচনার পর, পুরো পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

ইউপিডিএফ, একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে যার শেকড় রয়েছে অত্যাচার, হত্যাকাণ্ড, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে, সেই দলটিকে এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দলটির অন্যতম নেতা মাইকেল চাকমা, যার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ড, মানুষকে অপহরণ করা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে, এখন সেই সন্ত্রাসীই গণতান্ত্রিক শাসনের কথা বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন আসে, সত্যিই একজন সন্ত্রাসী নেতা কি গণতন্ত্রের প্রচারক হতে পারে? তার অতীত তো একেবারেই ভিন্ন ছবি আঁকছে। মাইকেল চাকমা আত্মগোপনে থাকার পর ৫ আগষ্ট পরবর্তী বিপ্লবী নেতা সাজার চেষ্টা করে অনৈতিক ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নানা অন্যায় আবদার করে তা আদায় করার চেষ্টা করছে।

মহা সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, একত্রীকরণের নাম করে সন্ত্রাসীদের রাজনীতির মঞ্চে আনা, তা কখনোই গণতন্ত্রের পক্ষে উপকারী হবে না। ইউপিডিএফ, মাইকেল চাকমা এবং তাদের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক বৈধতা প্রদান করা, দেশের জন্য একটি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে—এটা নিশ্চিত।

দেশের অখন্ডতা পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে, ইউপিডিএফের অবৈধ অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করা না হলে তিন পার্বত্য জেলার শান্তিকামী মানুষকে নিয়ে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে।

পিসিসিপি’র মহা-সমাবেশ থেকে আরোও দফা দাবি জানানো হয় -ইউপিডিএফ, জেএসএস ও কেএনএফ সহ পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে।ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদেরকে অপসারণ করতে হবে।সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বন্ধে নতুন করে বিজিবি’র বিওপি স্থাপন করতে হবে।পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখতে ১৯০০ সালের শাষনবিধি বাতিল করে বৈষম্যহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় নার্স ও ধাত্রী দিবস পালিত

SBN

SBN

রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

মো. কাওসার, রাঙ্গামাটি

পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ কর্তৃক জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে “তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব” দাবির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে বিক্ষোভ মিছিল ও মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাঙামাটি পৌরসভার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল (১২ মে) সোমবার সকাল ১১.০০ টায় শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপায় এসে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে মহা-সমাবেশে মিলিত হয়।

মহাসমাবেশে পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মো: আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি’র রাঙামাটি সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইসমাঈল গাজী, পিসিসিপি লংগদু উপজেলা শাখার সভাপতি মো: সুমন।

পিসিসিপি’র মহা-সমাবেশে বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে, তা আর কোনও অবস্থাতেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। বিশেষত, আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর সঙ্গে (১০ মে)২৫ ইং শনিবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আলোচনার পর, পুরো পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

ইউপিডিএফ, একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে যার শেকড় রয়েছে অত্যাচার, হত্যাকাণ্ড, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে, সেই দলটিকে এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দলটির অন্যতম নেতা মাইকেল চাকমা, যার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ড, মানুষকে অপহরণ করা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে, এখন সেই সন্ত্রাসীই গণতান্ত্রিক শাসনের কথা বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন আসে, সত্যিই একজন সন্ত্রাসী নেতা কি গণতন্ত্রের প্রচারক হতে পারে? তার অতীত তো একেবারেই ভিন্ন ছবি আঁকছে। মাইকেল চাকমা আত্মগোপনে থাকার পর ৫ আগষ্ট পরবর্তী বিপ্লবী নেতা সাজার চেষ্টা করে অনৈতিক ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নানা অন্যায় আবদার করে তা আদায় করার চেষ্টা করছে।

মহা সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, একত্রীকরণের নাম করে সন্ত্রাসীদের রাজনীতির মঞ্চে আনা, তা কখনোই গণতন্ত্রের পক্ষে উপকারী হবে না। ইউপিডিএফ, মাইকেল চাকমা এবং তাদের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক বৈধতা প্রদান করা, দেশের জন্য একটি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে—এটা নিশ্চিত।

দেশের অখন্ডতা পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে, ইউপিডিএফের অবৈধ অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করা না হলে তিন পার্বত্য জেলার শান্তিকামী মানুষকে নিয়ে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে।

পিসিসিপি’র মহা-সমাবেশ থেকে আরোও দফা দাবি জানানো হয় -ইউপিডিএফ, জেএসএস ও কেএনএফ সহ পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে।ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদেরকে অপসারণ করতে হবে।সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বন্ধে নতুন করে বিজিবি’র বিওপি স্থাপন করতে হবে।পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখতে ১৯০০ সালের শাষনবিধি বাতিল করে বৈষম্যহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে।