ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষনে পাহাড় ধসের আশংকা, সতর্কতা জারি

মো.কাওসার, রাঙ্গামাটি

গত সোমবার থেকে টানা বর্ষণে পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটিতে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজও (৯ জুলাই) সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছেঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার জন্য পৌরসভা এবং ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা শহরসহ ১০টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত হওয়ার দরুন, এতে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,প্রয়োজন হলে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ জানান দুর্যোগে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য জেলায় ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে সরকারি হিসেবে ১২০ জনের প্রাণহানী ঘটেছিল। তবে বেসরকারি ভাবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এরপর ২০১৮সালেও পাহাড় ধসে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বসবাসরত ১১জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষনে পাহাড় ধসের আশংকা, সতর্কতা জারি

আপডেট সময় ০৮:৪১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

মো.কাওসার, রাঙ্গামাটি

গত সোমবার থেকে টানা বর্ষণে পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটিতে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজও (৯ জুলাই) সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছেঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার জন্য পৌরসভা এবং ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা শহরসহ ১০টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত হওয়ার দরুন, এতে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,প্রয়োজন হলে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ জানান দুর্যোগে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য জেলায় ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে সরকারি হিসেবে ১২০ জনের প্রাণহানী ঘটেছিল। তবে বেসরকারি ভাবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এরপর ২০১৮সালেও পাহাড় ধসে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বসবাসরত ১১জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।