ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বরুড়ায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দারিদ্র্য বিমোচন ও উদ্ভাবনে চীনের সাফল্য প্রশংসিত Logo তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করে পুনরেকীকরণ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না Logo বসন্ত উৎসব গালার মাসকট দেশজুড়ে প্রদর্শিত Logo খুলনায় এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ব Logo জলঢাকার বানপাড়া সুইচগেট এলাকা থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ঝিনাইদহে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল লীগের উদ্বোধন Logo টেকনাফে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক Logo নীলফামারীতে ভলিবল ও কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বৃদ্ধি, লোকালয় প্লাবিত

মো. কাওসার, রাঙ্গামাটি

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে,প্লাবিত হয়েছে তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল। যার ফলে কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (৬ আগষ্ট) দুপুর ১টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে আড়াইফুট করে পানি ছাড়া শুরু করা হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৪৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় চাপ কমাতে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরে পানির চাপ আরো বৃদ্ধি পাওয়াতে ওইদিন রাতেই আরো ১ ফুট বাড়ানো হয়। এদিকে হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বুধবার দুপুর ১টা থেকে বর্তমানে আড়াইফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান জানান, বুধবার দুপুর একটা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮ দশমিক ৭৬ ফুট এমএসএল,কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএমএল। তাই পানির চাপ নিয়ন্ত্রন করতে আড়াইফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ থেকে ২২২ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২ হাজার কিউসেক পানি পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলীতে পড়ছে। কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটে উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় চলে আসাতে কিছু কিছু হ্রদ তীরবর্তী এলাকায় নিম্মাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে প্লাবিত এলাকার সাধরন মানুষরা।এদিকে পানির পরিমাণ যদি বৃদ্ধি পায় তার উপর ভিত্তি করে স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি বা কমানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে কর্ণফুলী নদীর ওপর কৃত্রিম ভাবে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে প্রায় ৭০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মনষ্য সৃষ্ট কৃত্রিম হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে রাঙামাটি জেলাধীন প্রায় ৫৪ হাজার একর কৃষিজমি ডুবে যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরুড়ায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

SBN

SBN

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বৃদ্ধি, লোকালয় প্লাবিত

আপডেট সময় ০৪:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

মো. কাওসার, রাঙ্গামাটি

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে,প্লাবিত হয়েছে তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল। যার ফলে কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (৬ আগষ্ট) দুপুর ১টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে আড়াইফুট করে পানি ছাড়া শুরু করা হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৪৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় চাপ কমাতে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরে পানির চাপ আরো বৃদ্ধি পাওয়াতে ওইদিন রাতেই আরো ১ ফুট বাড়ানো হয়। এদিকে হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বুধবার দুপুর ১টা থেকে বর্তমানে আড়াইফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান জানান, বুধবার দুপুর একটা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮ দশমিক ৭৬ ফুট এমএসএল,কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএমএল। তাই পানির চাপ নিয়ন্ত্রন করতে আড়াইফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ থেকে ২২২ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২ হাজার কিউসেক পানি পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলীতে পড়ছে। কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটে উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় চলে আসাতে কিছু কিছু হ্রদ তীরবর্তী এলাকায় নিম্মাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে প্লাবিত এলাকার সাধরন মানুষরা।এদিকে পানির পরিমাণ যদি বৃদ্ধি পায় তার উপর ভিত্তি করে স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি বা কমানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে কর্ণফুলী নদীর ওপর কৃত্রিম ভাবে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে প্রায় ৭০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মনষ্য সৃষ্ট কৃত্রিম হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে রাঙামাটি জেলাধীন প্রায় ৫৪ হাজার একর কৃষিজমি ডুবে যায়।