
নাহিদ জামান, খুলনা
মানুষ ন্যার্য্য মুল্যে পন্য ক্রয়ের জন্য কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের কাছ থেকে পন্য ক্রয় করে থাকে। কাগজের কার্ড অনেক সময় ছিড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ন্যার্য্য মূল্যে পন্য পাওয়ার জন্য সরকার স্মার্ট কার্ড তৈরি করে, সকল সেবা গ্রহিতাদের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের ব্যাবস্থা করেছে।
অভিযোগ পাওয়া যায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কার্ড বিতরণের সময় টাকা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিত্বে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রূপসা উপজেলার ২ নং শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিটি কার্ডের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেবা গ্রহিতা শাহানারা বেগমের কাছে নতুন কার্ড নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান পুরারত কার্ড নিয়ে নতুন কার্ড নেওয়ার জন্য ১০০ টাকা দিতে হবে। আমি নতুন কার্ড নিতে এসেছি। নান্টু মোল্লা নামে এক সেবা গ্রহীতা ১০০ টাকা দিয়ে নতুন কার্ড নিচ্ছে এমন চোখে পড়ে। ইউনিয়ন পরিষদে সচিব কে কার্ড দেওয়ার সময় পাওয়া যায়নি।
এসময় জোবায়ের নামে এক যুবক কে কার্ড বিতরন করতে দেখা যায়। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে কার্ড বিতরন করছেন কিন্তু তিনি ইউনিয়ন পরিষদে কোন চাকুরি করেন না এটা তার মুখ থেকে জানা যায়। কেন টাকার বিনিময়ে কার্ড বিতরন করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি না যার কার্ডে সমস্যা আছে তার কাছ থেকে নিচ্ছি। পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম বলেন টাকা নিয়ে কার্ড বিতরণ করছে এটা আমার জানা নেই। যেহেতু এ রকম ঘটনা কানে এসেছে যাতে আর টাকা না নেওয়া হয় সে ব্যাপারে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
তার কাছ থেকে আরো জানা যায় এই ইউনিয়নে ১৭০০ মানুষ ন্যার্য্য মূল্যে পন্য ক্রয়ের কার্ড পাবে, বর্তমানে ১১০০ কার্ড পরিষদে এসেছে আমরা সেগুলি বিতরণ করছি। ১৭০০ কার্ড যদি ১০০ টাকা করে বিতরণ করা হয় তাহলে ১,৭০,০০০ হাজার টাকা হবে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী বলেন সরকার যদি কার্ডের জন্য টাকা নেয় আমাদের কোন আপত্তি নেই। যেহেতু সরকার টাকার বিনিময়ে কার্ড নিতে বলেনি সেহেতু এটা অপরাধ। কেন টাকার বিনিময়ে কার্ড বিতরন হচ্ছে এটা তদন্ত করে দেখা দরকার। আমরা এই অপরাধের বিচার চাই।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























