
নাহিদ জামান, খুলনা
রূপসা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল ২২ জুলাই ঘাটভোগ ইউনিয়নের ডোবাগ্রামে থেকে বিদেশি অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন ডোবা গ্রামের নিখিল দাসের পুত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুন দাস, নিখিল মহলীর পুত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নৃপেন মহলী (৪১), নতুনদিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন মহন্তের পুত্র উপজেলা জয়বাংলা ব্রিগেড সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিজিত মহন্ত (৩০) এ সময় আসামিদের নিকট হতে ০১ টি পিস্তল, ০১ টি রামদা ও ০১ টি স্টিলের তৈরী চাকু উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায় গত ২১ জুলাই বিকেল ৩ টা হতে রাত পর্যন্ত নিপুণ দাস সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্রকে সাথে নিয়ে ডোবা গ্রামের ৪০/৪৫ জন সম্মানিত ব্যাক্তিকে মারপিট, লাঞ্চিত ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জয়বাংলা বলতে বাধ্য করে। এতে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করে।
অপরদিকে নিপুন ও তার বাহিনী ২১ জুলাই রাত ২ ঘটিকার দিকে নতুনদিয়া বিলে কাজদিয়া গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী মিজানুরের ঘেরে গিয়ে মিজানুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে উলঙ্গ করে মারপিট করে এবং ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে। পরবর্তীতে মিজানুরের ছেলে ইমন টাকা নিয়ে গেলে তাকে ও বিবস্ত্র করে পিতাপুত্রকে একই স্থানে বসিয়ে মারপিট করে। এ সময় মিজানের মৎস্য ঘেরের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ঘরে থাকা মাছের খাবার বিনষ্ট করে ক্ষতি সাধন করে। মিজানের ছোট ছেলে পিতা এবং ভাইকে বাঁচাতে ডাকচিৎকার শুরু করলে নতুনদিয়া গ্রমের জনতা নিপুল বাহিনীকে দাওয়া করে। এ সংবাদে ডোবা গ্রামের জনতাও সেই সাথে যুক্ত হয়ে নিপুলসহ তার বাহিনীকে জিম্মি করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পরবর্তীতে রূপসা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুর রহমানে নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ অফিসার নিপুল বাহিনীকে নিরস্ত্র করে জনতার সহায়তায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে রামদা, চাকু উদ্ধার করে জব্দ করে। আসামীদের কে থানা হাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে তারা তাদের হেফাজতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করে। তখন পুলিশ ধৃত আসামী নিপুন এর বর্ণনা মতে ডোবা গ্রামস্থ বিলে ধৃত আসামী নিপুনের মৎস্য ঘের থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে। ধৃত আসামীগনকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘ দিন যাবত অজ্ঞাতনামা বিভিন্ন স্থান হইতে অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজ হেফাজতে রেখে ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে অপরাধ মুলক কার্যক্রম করে বলে স্বীকার করেছে।
বর্ণিত আসামীগন অবৈধ অস্ত্র নিজ হেফাজতে রাখিয়া The Arms Act, 1878 এর 19A ধারার অপরাধ করিয়াছে। ধৃত আসামিদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান ধৃত নিপুল বাহিনী ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের পলাতক চেয়ারম্যান মোল্লা অহিদুজ্জামান মিজানের দক্ষিণ হস্তছিল বলে স্বীকার করেছে। তাছাড়া এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভয়ংকর অপরাধী নিপুণ ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। অভিযান অব্যহত আছে খুব তাড়াতাড়ি নিপুণের অন্যান্ন সহযোগীদের গ্রেফতার করা হবে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























