
নাহিদ জামান, খুলনা
রূপসায় থানা পুলিশের অভিযানে ঘাটভোগ ইউনিয়নের গোয়াল বাড়ীর চরে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ এপ্রিল রাতে ১১ জন জুয়াড়ী এবং ১ জন কে মাদকদ্রব (গাজা) সহ আটক করা হয়। আটকের পরের দিন ৭ এপ্রিল উপজেলা ভুমি অফিসে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রকাশ্যে জুয়া আইন১৮৬৭ এর ৪ ধারা মোতাবেক বিভিন্ন মেয়াদে ৯ জন কে সাজা প্রদান এবং মাদক দ্রব নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৪২ এর ১ ধারা মোতাবেক ১ জন কে সাজা প্রদান করে আদালতে প্রেরন করা হয় এবং ২ জন কে জরিমানা করে মুক্তি দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৫) পিতা গোলাম মোস্তফা, আনন্দনগর কে ১০ দিন, নয়ন হাওলাদার(২৫) পিতা ফজলু হাওলাদার, ভবানীপুর কে ১০ দিন, মোঃ বাবু সরদার (৬০) পিতা শামসুর রহমান, আনন্দনগর কে ১০ দিন, এরশাদ লস্কার (৪২) পিতা এসহাক আলী লস্কার, আনন্দনগর কে ১০ দিন, তুরাপ লস্কার (৩০) পিতা জাহিদ লস্কার, আনন্দনগর কে ১০ দিন, জনি ফকির (২৫) পিতা আতম ফকির, আনন্দনগর কে ৭ দিন, বাহাদুর শেখ, (২৮) পিতা ইদ্রিস শেখ, আনন্দনগর কে ১০ দিন, আজিজুল মুন্সি (২৫) পিতা হারুন অর রশিদ, আনন্দনগর কে ১০ দিন,আল আমিন লস্কর (৪০) পিতা শের আলী লস্কার গোয়াল বাড়ীর চর কে ২১ দিন। মাদক দ্রব আইনে ইমরান পাইক (৩৫) পিতা আনোয়ার পাইক গোয়ালবাড়ীর চর কে ১৪ দিনের জেল ও ১০০ টাকা জরিমানা সাজা প্রদান করে খুলনা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। জনি মল্লিক (২০) পিতা মৃত মনির মল্লিক ১৫০০ টাকা নগদ এবং রেহান লস্কার (২০) পিতা আলামিন লস্কার কে ১৫০০ টাকা নগদ জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন রূপসা উপজেলা (সহকারী ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তী।
পরে উদ্ধারকৃত আলামত তাস ও মাদকদ্রব (গাজা) উপজেলা ভুমি অফিসের সামনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।