ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নাহিদ জামান, খুলনা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৯ মে বিকাল সাড়ে চারটায় ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুর্ব পুরুষের বসত ভিটায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার ২য় দিনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। তিনি বাঙালির মনিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সকল ঋতু নিয়ে তার রচনা সামগ্রী আজও বাঙালির হৃদয় ছুয়ে যায়। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথের হাতের ছোঁয়া সকল সাহিত্যের পূর্ণতা পেয়েছিলো। তার রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন। তার সৃষ্টিকর্ম তার রচিত কাব্য, উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাট্যসাহিত্য, প্রবন্ধ, চিত্রকলা ও সঙ্গীতের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।

রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশের প্রকৃতি নিয়ে মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মান্নান। রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিলন সাহা, খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, রূপসা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ।

শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও রূপসা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অপ্রতীম কুমার চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রেজাউনুর রশিদ, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ বোরহান উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম তরফদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ বজলুর রহমান, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনিন্দ্য কুমার দাস, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুজিত মন্ডল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান, পল্লী বিদুৎ এজিএম এম এ হালিম খান, একাডেমিক সুপার ভাইজার নিত্যানন্দ মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত সরকার, অধ্যাপক আল মামুন সরকার, ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী সুখেন রায়, আঃ হালিম, রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর গোপাল চন্দ্র কুশারী, সাংবাদিক তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু, জিএম আসাদুজ্জামান, খান আঃ জব্বার শিবলী, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এসএমএ মালেক, আলিম খান, রবিউল ইসলাম রবি, জহিরুল হক শারাদ, মুরছালিন ইসলাম রনি, ছাত্র প্রতিনিধি ফাহাদ গাজী প্রমূখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

SBN

SBN

রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আপডেট সময় ০৯:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

নাহিদ জামান, খুলনা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৯ মে বিকাল সাড়ে চারটায় ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুর্ব পুরুষের বসত ভিটায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার ২য় দিনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। তিনি বাঙালির মনিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সকল ঋতু নিয়ে তার রচনা সামগ্রী আজও বাঙালির হৃদয় ছুয়ে যায়। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথের হাতের ছোঁয়া সকল সাহিত্যের পূর্ণতা পেয়েছিলো। তার রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন। তার সৃষ্টিকর্ম তার রচিত কাব্য, উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাট্যসাহিত্য, প্রবন্ধ, চিত্রকলা ও সঙ্গীতের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।

রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশের প্রকৃতি নিয়ে মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মান্নান। রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিলন সাহা, খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, রূপসা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ।

শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও রূপসা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অপ্রতীম কুমার চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রেজাউনুর রশিদ, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ বোরহান উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম তরফদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ বজলুর রহমান, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনিন্দ্য কুমার দাস, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুজিত মন্ডল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান, পল্লী বিদুৎ এজিএম এম এ হালিম খান, একাডেমিক সুপার ভাইজার নিত্যানন্দ মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত সরকার, অধ্যাপক আল মামুন সরকার, ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী সুখেন রায়, আঃ হালিম, রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর গোপাল চন্দ্র কুশারী, সাংবাদিক তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু, জিএম আসাদুজ্জামান, খান আঃ জব্বার শিবলী, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এসএমএ মালেক, আলিম খান, রবিউল ইসলাম রবি, জহিরুল হক শারাদ, মুরছালিন ইসলাম রনি, ছাত্র প্রতিনিধি ফাহাদ গাজী প্রমূখ।