
নাহিদ জামান, খুলনা
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১০ মে বিকাল সাড়ে চারটায় ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুর্ব পুরুষের বসত ভিটায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার সমাপনী দিনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মানবতার কবি। তিনি মানব প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার নোবেল বিজয়ীর সমুদয় অর্থ মানবসেবার জন্য কৃষি ব্যাংকে দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন শান্তির কবি। তার লেখার মধ্যে দিয়ে বিশ্বে শান্তির বার্তা পৌঁছে যেতো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৈশর থেকে অসাম্প্রদায়িক ভাবে বেড়ে উঠেন। এজন্য তার কাছে মানুষের সেবাই ছিলো পরম ধর্ম। তিনি আরও বলেন ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত।
এছাড়া তাকে ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। তিনি সব সময় গ্রামবাংলার মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতেন। তার এই অসাধারণ চিন্তাধারা গুলো তার লেখনির মাধ্যমে ফুটে উঠত। এজন্যই বিশ্বকবি ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমৃত্যু অবধি মানবসেবায় কাজ করে গেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ও মানবতা বিষয় নিয়ে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মৌমিতা রায়।
সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অপ্রতীম কুমার চক্রবর্তী।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুন্নাহার, নারায়নগঞ্জ পল্লী বিদুৎ এর ডিজিএম সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমিন।
রূপসা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম ও রূপসা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম তরফদার, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ, ফকিরহাট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, রূপসা উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নিত্যানন্দ মন্ডল, রূপসা পল্লী বিদুৎ এজিএম এম এ হালিম খান,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ বজলুর রহমান, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত সরকার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আসাদুজ্জামান, আরশাদ আলী এন্ড সবুরেন্নছা কলেজের অধ্যাপক এসএম আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আল মামুন সরকার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর গোপাল চন্দ্র কুশারী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী সুখেন রায়,ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মজুমদার, কৃষ্ণপদ রায়, সরোজ কুমার হালদার, হায়দার আলী, হরিপদ মজুমদার প্রমূখ।