১১তম রেশমপথ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, ‘রেশমপথের তারা’ নামে মিনি-নাটকের উচ্চ-মানের বিকাশ বিষয়ক অধিবেশন ২৩ সেপ্টেম্বর চীনের শায়ানসি প্রদেশের সি’আনে আয়োজিত হয়েছে। অধিবেশনে ‘স্টার সূচক’ নামে মিনি-নাটকের সম্প্রচার ও আবেদন মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর প্রথমপর্বের মূল্যায়নের ফলাফল, যৌথভাবে ‘স্টার পরিকল্পনা’ প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা, জাতীয় মিনি-নাটক গবেষণা ও মূল্যায়ন কেন্দ্র উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শায়ানসি প্রদেশের বেতার ও টিভি ব্যুরো ‘মিনি-নাটক শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করার নানা ব্যবস্থা’ জারি করেছে। তারা শায়ানসি মিনি-নাটক শিল্পের সহায়তা ফান্ড স্থাপন করবে, দু’বছরের মধ্যে চীনের প্রধান অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মে ২০০টিরও বেশি শ্রেষ্ঠ মিনি-নাকট সম্প্রচার করবে এবং ১৫টিরও বেশি নেতৃস্থানীয় মিনি-নাটক কোম্পানি লালন করবে।
অধিবেশনে ‘তোমার জন্য তিন হাজার বছর অপেক্ষা’, ‘ফেরার পথে বাতাস আছে’সহ দশটি মিনি-নাটক ‘সেরা সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মিনি-নাকট’ নির্বাচিত হয়েছে। ‘একাকী ভ্রমণ দল’ আর ‘মিস্টার চিনি’সহ দশটি মিনি-নাটক ‘সেরা সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক সুনাম অর্জনের সফল কেস’ নির্বাচিত হয়েছে।
‘মিনি-নাটক’ প্লাস সাংস্কৃতিক পর্যটন ক্ষমতায়ন এবং বিদেশ সম্প্রচার নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
চীনের জাতীয় পর্যায়ের প্রথম শ্রেণীর অভিনেতা থান সি ‘মিনি-নাটক প্লাস সাংস্কৃতিক পর্যটনে’র পদ্ধতিকে সমর্থন করেন। তিনি মনে করেন, চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য, সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপ, লোকপ্রথা আর বৈশিষ্ট্যময় পণ্যগুলো নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তুলে ধরা যায়।
শায়ানসি নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ু কেং ঐতিহাসিক সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে মিনি-নাটকে চীনা গল্প বর্ণনা আর তার বিশেষ মূল্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি মনে করেন, সি’আন চীনের অন্যতম বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নগর হিসেবে মিনি-নাটক সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মিনি-নাটক বাজারের দ্রুত বিকাশ দেখে চায়না মোবাইল মিগুর কোম্পানির গুগু স্টুডিও’র প্রতিনিধি মাদাম সিয়ে চিয়া বিং মনে করেন, গুণগতমান আর পার্থক্য বজায় রাখা হচ্ছে ভবিষ্যতে মিনি-নাটক উন্নয়নের চাবিকাঠি।
সূত্র:আনন্দী-হাশিম, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।