ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল। কিন্তু ছিলেন বেশ লাজুকও। ক্লাস ফাইভেই আসে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব। এতে বাবা বিষ্মিত হয়ে বলেন, আমার মেয়ে কীভাবে অভিনয় করবে! এত লাজুক, কারও সামনেই তো আসতে চায় না। অথচ সেই লজ্জাবতী কিশোরীই হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। আজ শাবানার জন্মদিন। ১৯৫২ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বাবা-মা নাম রাখেন আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু তার পরিচিতি সাবানা নামেই। চট্টগ্রামের রাউজানে তার জন্ম।
পড়াশোনায় মন বসেনি। তাই স্কুলের গণ্ডিও পার করেননি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই জীবনে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। ঢালিউড নির্মাতা এহতেশাম ছিলেন তার বাবার খালাতো ভাই। সেই সূত্রেই অভিনয়ের সুযোগটা আসে। সিনেমার জন্য তাকে আলাদা নামও দেন এহতেশাম। তবে সম্পর্কের খাতিরে সুযোগ পেলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন নিজের যোগ্যতায়, চেষ্টায়। যার সুবাদে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রায় তিনশ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাবানা। ১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে তার রুপালি অধ্যায়ের সূচনা হয়। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় নৃত্যশিল্পী ও অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। নায়িকা চরিত্রে তাকে প্রথম দেখা যায় ১৯৬৭ সালে, এহতেশাম পরিচালিত ‘চকোরী’তে। অতঃপর শুধু এগিয়ে যাবার পালা। ব্যস্ততায় ডুবে একের পর এক সিনেমা করেছেন আর নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নাদিম, রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, জসীম, সোহেল রানাসহ জনপ্রিয় নায়কদের সঙ্গে জুটিবেঁধে উপহার দিয়েছেন বহু নন্দিত সিনেমা।