
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বাড়ি- ঘর, ক্ষেতের ফসলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বৃষ্টি সেই সাথে প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। ভুট্টা ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে পাটগ্রাম পৌর শহরের কলেজ মোড় এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে দোকানপাট, গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়ে।
ফায়ার ব্রিগেডের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ঝড়ে,ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নিশ্চিত করা যায়নি বলে ফায়ার ব্রিগেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে,ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের কবলে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় পাটগ্রাম উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শাক সব্জীর ক্ষেত ও ভুট্টা খেতে গাছ উপড়ে পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাটগ্রাম কলেজ মোড় এলাকার অনেকেই বলেন, ঝড়ের কবলে আমাদের প্রায় ১২ থেকে ১৩ টি দোকানের টিন ও বেড়া উড়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
এদিকে পৌর এলাকার কলেজ মোড়ের আকাব্বর আলী বলেন, আজ সকালে হঠাৎ ঝরে আমার ঘর উল্টে যায়। কোন মতন পরিবারের লোকজন নিয়ে জানে বেঁচে গেছি। আমি একজন দিনমজুর ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় হতাশায় পড়েছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নেওয়া হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা কর্মকর্তা ইউএনও জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সাইখুল আরিফিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ভুট্টা ও সবজী ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। কি পরিমানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে উপজেলা কৃষি অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।