ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শিবচরে পদ্মা নদী থেকে অবধৈভাবে ড্রেজারসহ আটক ২ Logo বাবার জীবন বাঁচাতে লিভারের ৬০% উৎসর্গ করেছেন মেয়ে Logo সিচাংয়ে দুর্গত এলাকায় দ্বিতীয় দফা ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে চীনা রেডক্রস সোসাইটি Logo চীনে আবহাওয়া সতর্কীকরণ ও দুর্যোগের পূর্বাভাসের মধ্যে সংযোগ জোরদার করতে হবে Logo মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কুমিল্লা আইএইচটি এন্ড ম্যাটস- এ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ সম্পন্ন Logo জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ূমের মা হোসনে আরা বেগম পম্পিয়ার ইন্তেকাল জাসদের শোক Logo গাজীপুরে ৪ একর বনভূমি উদ্ধার, টাঙ্গাইলে ৭ ইটভাটা ভেঙ্গে কার্যক্রম বন্ধ করলো প্রশাসন Logo কালীগঞ্জে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব Logo বরুড়ায় ইয়ংস্টার সোস্যাল অর্গানাইজেশন এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয় ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান

  • এসবি-সুজন
  • আপডেট সময় ০৩:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

এসবি-সুজন:

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ ফুটো হয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে।

এই বিদ্যালয় ভবনে চারটি কক্ষ রয়েছে। এর একটি অফিস রুম এবং বাকি তিনটি ক্লাস কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিকে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ধুলা-বালি দিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর বন্যাটারী গ্রামে ৪০ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। 1996 সালে বিদ্যালয়টির জন্য একটি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি 2013 সালে জাতীয়করণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা 150 জন এবং শিক্ষক রয়েছেন 6 জন।

গ্রামের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভবনের ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে। আর সেখানে পাঠদান করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অষ্টমী, মল্লিকা, ফাতেমা, খোকন, রবিউল জানান, বিদ্যালয় ভবনটি পুরনো হয়ে গেছে। স্কুল খোলা হলে ক্লাসরুমের ছাদ থেকে সিমেন্ট এসে আমাদের শরীরে পড়ে। আমরা প্রচণ্ড ভয়ে ক্লাসরুমের ভেতরে পড়াই। সেজন্য আমাদের এই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা ভালো না থাকায় সিমেন্ট ছিটকে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। নতুন ভবনের জন্য অনেক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা না হলে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াতে আগ্রহী হচ্ছে না।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে জুন মাসের দিকে বরাদ্দ আসতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

শিবচরে পদ্মা নদী থেকে অবধৈভাবে ড্রেজারসহ আটক ২

SBN

SBN

লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয় ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান

আপডেট সময় ০৩:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

এসবি-সুজন:

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ ফুটো হয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে।

এই বিদ্যালয় ভবনে চারটি কক্ষ রয়েছে। এর একটি অফিস রুম এবং বাকি তিনটি ক্লাস কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিকে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ধুলা-বালি দিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর বন্যাটারী গ্রামে ৪০ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। 1996 সালে বিদ্যালয়টির জন্য একটি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি 2013 সালে জাতীয়করণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা 150 জন এবং শিক্ষক রয়েছেন 6 জন।

গ্রামের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভবনের ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে। আর সেখানে পাঠদান করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অষ্টমী, মল্লিকা, ফাতেমা, খোকন, রবিউল জানান, বিদ্যালয় ভবনটি পুরনো হয়ে গেছে। স্কুল খোলা হলে ক্লাসরুমের ছাদ থেকে সিমেন্ট এসে আমাদের শরীরে পড়ে। আমরা প্রচণ্ড ভয়ে ক্লাসরুমের ভেতরে পড়াই। সেজন্য আমাদের এই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা ভালো না থাকায় সিমেন্ট ছিটকে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। নতুন ভবনের জন্য অনেক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা না হলে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াতে আগ্রহী হচ্ছে না।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে জুন মাসের দিকে বরাদ্দ আসতে পারে।