ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় পুনরায় তদন্তে নেমেছে পিবিআই Logo দৈনিক মুক্তির লড়াইয়ে সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনায় সরকারি খাল উদ্ধার Logo ​খুলনা বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা চ্যাম্পিয়ন Logo ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অংশীদারিত্বে আস্থা প্রকাশ দুই নেতার Logo ৫০ বছরের মৈত্রীর বন্ধনে নতুন অধ্যায় সূচনার আহ্বান সি চিন পিংয়ের Logo আবুজা ও লেবাননে চীনা শান্তিরক্ষীদের অবদানে জাতিসংঘের স্বীকৃতি Logo লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ী Logo বালিয়াডাঙ্গীতে কয়েক সেকেন্ডেই লন্ডভন্ড পাঁচ গ্রাম; ক্ষতিগ্রস্ত ৩শতাধিক পরিবার Logo কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিন মামলায় জরিমানা ও কারাদণ্ড Logo ঝিনাইদহে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয় ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান

  • এসবি-সুজন
  • আপডেট সময় ০৩:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

এসবি-সুজন:

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ ফুটো হয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে।

এই বিদ্যালয় ভবনে চারটি কক্ষ রয়েছে। এর একটি অফিস রুম এবং বাকি তিনটি ক্লাস কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিকে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ধুলা-বালি দিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর বন্যাটারী গ্রামে ৪০ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। 1996 সালে বিদ্যালয়টির জন্য একটি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি 2013 সালে জাতীয়করণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা 150 জন এবং শিক্ষক রয়েছেন 6 জন।

গ্রামের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভবনের ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে। আর সেখানে পাঠদান করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অষ্টমী, মল্লিকা, ফাতেমা, খোকন, রবিউল জানান, বিদ্যালয় ভবনটি পুরনো হয়ে গেছে। স্কুল খোলা হলে ক্লাসরুমের ছাদ থেকে সিমেন্ট এসে আমাদের শরীরে পড়ে। আমরা প্রচণ্ড ভয়ে ক্লাসরুমের ভেতরে পড়াই। সেজন্য আমাদের এই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা ভালো না থাকায় সিমেন্ট ছিটকে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। নতুন ভবনের জন্য অনেক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা না হলে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াতে আগ্রহী হচ্ছে না।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে জুন মাসের দিকে বরাদ্দ আসতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় পুনরায় তদন্তে নেমেছে পিবিআই

SBN

SBN

লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয় ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান

আপডেট সময় ০৩:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

এসবি-সুজন:

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ ফুটো হয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে।

এই বিদ্যালয় ভবনে চারটি কক্ষ রয়েছে। এর একটি অফিস রুম এবং বাকি তিনটি ক্লাস কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিকে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ধুলা-বালি দিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর বন্যাটারী গ্রামে ৪০ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। 1996 সালে বিদ্যালয়টির জন্য একটি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি 2013 সালে জাতীয়করণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা 150 জন এবং শিক্ষক রয়েছেন 6 জন।

গ্রামের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভবনের ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে। আর সেখানে পাঠদান করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অষ্টমী, মল্লিকা, ফাতেমা, খোকন, রবিউল জানান, বিদ্যালয় ভবনটি পুরনো হয়ে গেছে। স্কুল খোলা হলে ক্লাসরুমের ছাদ থেকে সিমেন্ট এসে আমাদের শরীরে পড়ে। আমরা প্রচণ্ড ভয়ে ক্লাসরুমের ভেতরে পড়াই। সেজন্য আমাদের এই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা ভালো না থাকায় সিমেন্ট ছিটকে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। নতুন ভবনের জন্য অনেক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা না হলে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াতে আগ্রহী হচ্ছে না।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে জুন মাসের দিকে বরাদ্দ আসতে পারে।