ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি Logo বাগেরহাটের দশানী পচা দীঘি থেকে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার Logo মুন্সীগঞ্জে ৭ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও ইলিশ জব্দ Logo জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন Logo বেইজিং নারী শীর্ষ-সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক আহ্বান Logo বিআরআই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি Logo বিশ্বজুড়ে প্রশংসা চীনের নারী উন্নয়ন মডেল: সিজিটিএন জরিপ Logo ফতুল্লায় ৮৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িসহ ২ জন পাচারকারী আটক Logo মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় মোংলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ছোটন বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক

লালমনিরহাটে হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাট শহরের গোসালা বাজার এলাকায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এক সেলুন ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে আটক করেছে স্থানীয় মুসল্লিরা। পরে তাদের লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ২২ জুন (রবিবার) দুপুরে লালমনিরহাট পৌরসভার গোসালা বাজারের হানিফ পাগলা মোড়ে। আটককৃতরা হলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনটারী এলাকার বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র শীল (৬০) ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল (৩৩)।

স্থানীয়রা জানান, পরেশ ও বিষ্ণু দীর্ঘদিন ধরে সেলুনে চুল কাটতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করতেন। তারা দাবি করেন, ওই বাবা-ছেলে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যাচারমূলক মন্তব্য করেছেন, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করে।

এক ব্যক্তি সেলুনে চুল কাটতে গেলে তারা তাকে বলেন, “হযরত মুহাম্মদ (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন এবং ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।” এছাড়াও তারা বলেন, “শিবলিঙ্গ ধোয়া পানি দিয়ে কাবা শরীফ ধ্বংস করা হবে।” বিষয়টি ওই ব্যক্তি তাৎক্ষণিক পাশের মসজিদে জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসল্লিরা জড়ো হয়ে তাদের আটক করেন। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এরপর শত শত বিক্ষুব্ধ মুসল্লি থানার সামনে জড়ো হয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরনবী বলেন, “গোসালা বাজারে নবীজিকে নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে স্থানীয়রা আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অবমাননার চেষ্টা এবং শ্রেণীবিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

SBN

SBN

লালমনিরহাটে হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

আপডেট সময় ০৯:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাট শহরের গোসালা বাজার এলাকায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এক সেলুন ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে আটক করেছে স্থানীয় মুসল্লিরা। পরে তাদের লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ২২ জুন (রবিবার) দুপুরে লালমনিরহাট পৌরসভার গোসালা বাজারের হানিফ পাগলা মোড়ে। আটককৃতরা হলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনটারী এলাকার বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র শীল (৬০) ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল (৩৩)।

স্থানীয়রা জানান, পরেশ ও বিষ্ণু দীর্ঘদিন ধরে সেলুনে চুল কাটতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করতেন। তারা দাবি করেন, ওই বাবা-ছেলে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যাচারমূলক মন্তব্য করেছেন, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করে।

এক ব্যক্তি সেলুনে চুল কাটতে গেলে তারা তাকে বলেন, “হযরত মুহাম্মদ (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন এবং ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।” এছাড়াও তারা বলেন, “শিবলিঙ্গ ধোয়া পানি দিয়ে কাবা শরীফ ধ্বংস করা হবে।” বিষয়টি ওই ব্যক্তি তাৎক্ষণিক পাশের মসজিদে জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসল্লিরা জড়ো হয়ে তাদের আটক করেন। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এরপর শত শত বিক্ষুব্ধ মুসল্লি থানার সামনে জড়ো হয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরনবী বলেন, “গোসালা বাজারে নবীজিকে নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে স্থানীয়রা আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অবমাননার চেষ্টা এবং শ্রেণীবিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”