ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মায়ানমারে পাচারকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ৬ পাচারকারী আটক Logo পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুমিল্লায় জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo মুরাদনগরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন গ্রেফতার Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo রাঙ্গামাটিতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo যৌথভাবে মানবজাতির আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে : চিন পিংয়ের শীর্ষক প্রবন্ধ Logo ‘সি চিন পিংয়ের প্রিয় সাংস্কৃতিক উদ্ধৃতি উচ্চতর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দর্শন Logo চীন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের জন্য মানবিক রোবট চালু করেছে Logo চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর

লালমাইয়ে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দত্তপুরে সায়মন হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্ব পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সায়মন হোসেন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর মধ্যমপাড়ার আবদুল মতিনের ছোট ছেলে। স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে সহকারী মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত সায়মন হোসেন মঙ্গলবার তার মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে ইফতার করেন। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সে তার মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৮টায় স্থানীয়রা দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ রেললাইনের পাশে সায়মনের মরদেহ দেখে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়।

‎খবর পেয়ে তারাবির নামাজের পর লালমাই যৌথ বাহিনীর আর্মি ক্যাম্প, লালমাই থানা ও লাকসাম রেলওয়ে থানার তিনটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল শেষে রাত পৌনে ১১টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই ফয়সাল বলেন, আমরা পাঁচ ভাই। সায়মন সবার ছোট। ‎দুই ভাই প্রবাসে থাকে। আমি ও সায়মনসহ তিন ভাই আজ মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে ইফতার করেছি। ইফতারের পর মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সায়মন আমার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে রাত ৮টায় লোক মারফত জানতে পারি আমার ভাইয়ের লাশ রেললাইনের পাশে পরে আছে।

এ সময় তার মুখ এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে চট্টগ্রাম অভিমুখী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল মানিব্যাগ তার পাশেই ছিল। নিহত সায়মন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো তার সাথে ব্যক্তিগত কোন শত্রুতার তথ্য পাওয়া যায়নি।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাত এগারোটায় সুরতাহালের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রেরণ করেন এবং নিহত কিশোরের পিতা অপমৃত্যুর মামলার অজু করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ানমারে পাচারকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ৬ পাচারকারী আটক

SBN

SBN

লালমাইয়ে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৫:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দত্তপুরে সায়মন হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্ব পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সায়মন হোসেন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর মধ্যমপাড়ার আবদুল মতিনের ছোট ছেলে। স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে সহকারী মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত সায়মন হোসেন মঙ্গলবার তার মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে ইফতার করেন। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সে তার মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৮টায় স্থানীয়রা দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ রেললাইনের পাশে সায়মনের মরদেহ দেখে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়।

‎খবর পেয়ে তারাবির নামাজের পর লালমাই যৌথ বাহিনীর আর্মি ক্যাম্প, লালমাই থানা ও লাকসাম রেলওয়ে থানার তিনটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল শেষে রাত পৌনে ১১টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই ফয়সাল বলেন, আমরা পাঁচ ভাই। সায়মন সবার ছোট। ‎দুই ভাই প্রবাসে থাকে। আমি ও সায়মনসহ তিন ভাই আজ মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে ইফতার করেছি। ইফতারের পর মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সায়মন আমার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে রাত ৮টায় লোক মারফত জানতে পারি আমার ভাইয়ের লাশ রেললাইনের পাশে পরে আছে।

এ সময় তার মুখ এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে চট্টগ্রাম অভিমুখী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল মানিব্যাগ তার পাশেই ছিল। নিহত সায়মন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো তার সাথে ব্যক্তিগত কোন শত্রুতার তথ্য পাওয়া যায়নি।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাত এগারোটায় সুরতাহালের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রেরণ করেন এবং নিহত কিশোরের পিতা অপমৃত্যুর মামলার অজু করেন।