ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের সাথে কল্যাণকর সহযোগিতা জোরদার করতে চাই : স্পেনের প্রধানমন্ত্রী Logo ইন্দোনেশিয়া-চীনের মধ্যে শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত অংশীদারিত্ব রয়েছে : প্রাবোও সুবিয়ান্তো Logo এশিয়া বিশ্বব্যাপী সহযোগিতামূলক উন্নয়নের একটি উচ্চভূমি: সি চিন পিং Logo মার্কিন ‘সমতুল্য শুল্ক’ আংশিক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে চীনের বক্তব্য Logo কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র জিসান হারানো গিয়েছে Logo গাইবান্ধায় বাংলার নববর্ষ উদযাপন Logo ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চায় ইটনা থানার ওসি Logo সুনামগঞ্জ সদরে দু’ পক্ষের সংঘর্ষ আহত-৮ পাল্টাপাল্টি মামলা Logo শাহরাস্তিতে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার Logo ঈশ্বরগঞ্জে চোরের ছুরিকাঘাতে তিনজন গুরুতর আহত

শতাব্দী পর শতাব্দীর আবর্তনে এবারও এলো বাংলা নববর্ষ

মাঈনউদ্দিন মুন্সি

এ এক পরিচয়, এক সংস্কৃতি, এক জাতিসত্তার পুর্নজাগরণের বাংলা নববর্ষ। এই দিনটি একটি দিন নয় শত শত বছরের ধারাবাহিকতা- বৈশাখি মেলাগুলো, হালখাতা, রমনার বটমূর এমনি মঙ্গলে শোভাযাত্রা সবই মিশেমিশে জানিয়ে দেয়, বাঙালি গর্বিত উত্তরাধিকার জনমত বাঙালির নববর্ষ ঐতিহ্যের গর্বিত বৈশাখ কালবৈশাখির ঝড়েও নববর্ষ উৎযাপন উদ্যমে পালিত করে, তা প্রমান এই উৎসব প্রাণের স্পন্দন। বাংলাদেশে বাংলা বর্ষপঞ্জির আধুনিকীকরণ ঘটে ১৯৬৬ সালে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয় এই সংস্কারকৃত পঞ্জিকা, যাতে ১৪ এপ্রিলই নির্ধারিত হয়।

বাংলা নববর্ষের দিন হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আরও একবার ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয়। এতে বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে ৩১ দিন এবং ফাল্গুন বাদে বাকি মাসগুলোতে ৩০ দিন রাখা হয়। ফাল্গুন মাস অধিবর্ষে ৩০ দিন ধরা হয়। এ সমস্যা সমাধানে ১৫৮৫ সালে আকবর প্রবর্তন করেন ‘তারিখ-এ-এলাহী’ নামক একটি সৌরনির্ভর বর্ষপঞ্জি। এর গণনা শুরু হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর, আকবরের সিংহাসনে আরোহনের দিন থেকে। এই পঞ্জিকার রূপদানে ভূমিকা রাখেন জ্যোতির্বিদ আমীর ফতুল্লাহ সিরাজি।

পরবর্তীতে এই বর্ষপঞ্জি ‘ফসলি সন’ এবং পরে ‘বঙ্গাব্দ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলা মাসের নাম ও দিনপঞ্জির মূল উৎস সংস্কৃত গ্রন্থ সূর্য সিদ্ধান্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আজও এই চান্দ্রসৌর পঞ্জিকা অনুসরণ করে পহেলা বৈশাখ পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এর উৎপত্তি কিন্তু বাংলায় নয়, বরং প্রাচীন ভারতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্য প্রবর্তন করেন বিক্রমী পঞ্জিকা। পরবর্তীতে এ পঞ্জিকার প্রভাব পড়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলে, যেখানে নিছক ঋতুভিত্তিক উৎসব হিসেবে পালিত হতো পহেলা বৈশাখ।

কোর্ট রির্পোটার, চাঁদপুর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের সাথে কল্যাণকর সহযোগিতা জোরদার করতে চাই : স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

SBN

SBN

শতাব্দী পর শতাব্দীর আবর্তনে এবারও এলো বাংলা নববর্ষ

আপডেট সময় ১১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মাঈনউদ্দিন মুন্সি

এ এক পরিচয়, এক সংস্কৃতি, এক জাতিসত্তার পুর্নজাগরণের বাংলা নববর্ষ। এই দিনটি একটি দিন নয় শত শত বছরের ধারাবাহিকতা- বৈশাখি মেলাগুলো, হালখাতা, রমনার বটমূর এমনি মঙ্গলে শোভাযাত্রা সবই মিশেমিশে জানিয়ে দেয়, বাঙালি গর্বিত উত্তরাধিকার জনমত বাঙালির নববর্ষ ঐতিহ্যের গর্বিত বৈশাখ কালবৈশাখির ঝড়েও নববর্ষ উৎযাপন উদ্যমে পালিত করে, তা প্রমান এই উৎসব প্রাণের স্পন্দন। বাংলাদেশে বাংলা বর্ষপঞ্জির আধুনিকীকরণ ঘটে ১৯৬৬ সালে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয় এই সংস্কারকৃত পঞ্জিকা, যাতে ১৪ এপ্রিলই নির্ধারিত হয়।

বাংলা নববর্ষের দিন হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আরও একবার ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয়। এতে বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে ৩১ দিন এবং ফাল্গুন বাদে বাকি মাসগুলোতে ৩০ দিন রাখা হয়। ফাল্গুন মাস অধিবর্ষে ৩০ দিন ধরা হয়। এ সমস্যা সমাধানে ১৫৮৫ সালে আকবর প্রবর্তন করেন ‘তারিখ-এ-এলাহী’ নামক একটি সৌরনির্ভর বর্ষপঞ্জি। এর গণনা শুরু হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর, আকবরের সিংহাসনে আরোহনের দিন থেকে। এই পঞ্জিকার রূপদানে ভূমিকা রাখেন জ্যোতির্বিদ আমীর ফতুল্লাহ সিরাজি।

পরবর্তীতে এই বর্ষপঞ্জি ‘ফসলি সন’ এবং পরে ‘বঙ্গাব্দ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলা মাসের নাম ও দিনপঞ্জির মূল উৎস সংস্কৃত গ্রন্থ সূর্য সিদ্ধান্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আজও এই চান্দ্রসৌর পঞ্জিকা অনুসরণ করে পহেলা বৈশাখ পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এর উৎপত্তি কিন্তু বাংলায় নয়, বরং প্রাচীন ভারতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্য প্রবর্তন করেন বিক্রমী পঞ্জিকা। পরবর্তীতে এ পঞ্জিকার প্রভাব পড়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলে, যেখানে নিছক ঋতুভিত্তিক উৎসব হিসেবে পালিত হতো পহেলা বৈশাখ।

কোর্ট রির্পোটার, চাঁদপুর।