
২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার), চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং নিউইয়র্কে, যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বন্ধুত্বপূর্ণ গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। মার্কিন-চীন ব্যবসা পরিষদ, মার্কিন-চীন সম্পর্ক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স, এবং বৈদেশিক সম্পর্ক কাউন্সিলের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন বন্ধুদের বক্তৃতা মনোযোগ সহকারে শোনার পর লি ছিয়াং বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দুটি দেশ পরস্পরের অংশীদার ও বন্ধু হতে পারে এবং হওয়া উচিত। দুটি প্রধান বিশ্বশক্তি হিসেবে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একে অপরকে সম্মান করা, শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা, পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতা করা, এবং পারস্পরিক সাফল্যের মাধ্যমে সাধারণ সমৃদ্ধি অর্জন করা উচিত।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এবং তাদের শিল্প কাঠামোতে শক্তিশালী পরিপূরকতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিল্প-শৃঙ্খলে উভয় দেশই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যি সহযোগিতা জোরদার করা পারস্পরিকভাবে লাভজনক ও বিশ্বের জন্য কল্যাণকর।
লি ছিয়াং আরও বলেন, স্থিতিশীল ও সুস্থ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রাখার এবং মার্কিন কোম্পানিসহ বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলোর জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য চীনের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা রয়েছে। প্রথমত, চীন সর্বদা একটি গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল মনোভাব বজায় রাখবে এবং চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও উন্নতির জন্য সমতা, শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে; দ্বিতীয়ত, চীন সর্বদা উন্নয়নের ওপর মনোনিবেশ করবে এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য কাজ করবে। চীনা অর্থনীতি একটি অনন্য ও স্থিতিশীল অপারেটিং ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে, যার বাজার সম্ভাবনা দ্রুত প্রকাশিত হচ্ছে, উদ্ভাবন অব্যাহত প্রবৃদ্ধিকে উত্সাহিত করছে এবং অর্থনৈতিক প্রাণশক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে; তৃতীয়ত, চীন সর্বদা তার প্রতিশ্রুতিগুলোকে সম্মান করবে এবং অটলভাবে বহির্বিশ্বের জন্য উন্মুক্তকরণ প্রসারিত করবে।
বৈঠকে মার্কিন অংশগ্রহণকারীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং সামাজিক উন্নয়নে চীনের প্রশংসনীয় সাফল্যের কথা ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের বৈশ্বিক প্রভাব রয়েছে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উচ্চ-স্তরের বিনিময় বজায় রাখবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংলাপ সম্প্রসারণ করবে, পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা জোরদার করবে, এবং জনগণের সাথে জনগণের বিনিময় বৃদ্ধি করবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থিতিশীল যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
সূত্র :রুবি-আলিম-সুবর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক: 



























