
‘এবারের জমকালো সামরিক কুচকাওয়াজ শুধু ইতিহাসের স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনা’, ‘একতা ও সহযোগিতাই হলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তি রক্ষার মূল নিশ্চয়তা’, ‘কেবলমাত্র গোটা বিশ্বের জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চললেই দীর্ঘমেয়াদী শান্তি বজায় রাখা সম্ভব’—জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধের ৮০তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের অংশগ্রহণকারীরা ‘একতা’ ও ‘কাঁধে কাঁধ মেলানো’র মতো শব্দ ব্যবহার করে ভবিষ্যতের প্রতি তাঁদের প্রত্যাশা এভাবেই প্রকাশ করেছেন।” সিএমজি সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন করা হয়, ৮০ বছর পেরিয়ে গেছে, মানবজাতির ঐতিহাসিক মিশনও পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন ঐতিহাসিক মিশন, হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে বিশ্ব কীভাবে তা মোকাবিলা করবে?
‘আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, বিভিন্ন দেশ ইতিহাস থেকে প্রজ্ঞা ও শিক্ষা গ্রহণ করে, সম্প্রীতিকে লালন করে, একযোগে বিশ্বের আধুনিকায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং মানবজাতির জন্য আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করবে’—প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক সমাজে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।
বর্তমানে চীন চীনা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আধুনিকায়নের নির্মাণকাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তবে চীন শুধু নিজের আধুনিকায়নই চায় না, বরং ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশসহ বিশ্বের নানা দেশের সাথে একযোগে আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করে।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং যুগের প্রবণতাকে ধারণ করে, মানবজাতির অভিন্ন অগ্রযাত্রার জন্য বৈশ্বিক আধুনিকায়নের রূপ কেমন হওয়া উচিত?
বৈশ্বিক আধুনিকায়ন হওয়া উচিত শান্তি ও উন্নয়নের আধুনিকায়ন, পারস্পরিক কল্যাণ ও সহযোগিতার আধুনিকায়ন এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির আধুনিকায়ন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে, চীন সবসময় একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমাত্রিক বিশ্ব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে আসছে। চীন উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথে অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়নেও সচেষ্ট।
৮০ বছর আগে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম থেকে শুরু করে আজকের একযোগে আধুনিকায়ন বাস্তবায়ন পর্যন্ত-শান্তি, সমতা, একতা ও সমন্বয়ের চেতনা অব্যাহতভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। ‘ইতিহাস থেকে প্রজ্ঞা ও শিক্ষা গ্রহণ করে, সম্প্রীতিকে লালন করে, একযোগে বিশ্বের আধুনিকায়নকে এগিয়ে নেওয়া এবং মানবজাতির জন্য আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করা’—এটিই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি সব মানুষের প্রত্যাশা এবং ৮০ বছর আগের সেই মহান বিজয়কে স্মরণের উত্তম পথ।
সূত্র:আকাশ-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।